গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে স্বল্প বেতনে আলাদা পোশাক কারখানায় কাজ করতেন মো. জামাল ও আনজু আরা দম্পতি। ইচ্ছে থাকলেও দুই সন্তানকে কাছে রাখার সামর্থ্য তাঁদের নেই। আট বছর বয়সী ছেলে মো. আরিফ ও ৭ বছর বয়সী মেয়ে জয়া খাতুন গ্রামে তাদের দাদা-দাদির কাছে থাকে। সেখানেই একটি বিদ্যালয়ে আরিফ তৃতীয় শ্রেণিতে এবং জয়া দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। পুজার ছুটিতে ২০ দিন আগে বাবা-মায়ের কাছে বেড়াতে এসেছিল দুই ভাই-বোন। এখন মা আনজু আরার লাশের সঙ্গে সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের চরগিরিশ গ্রামে ফিরছে ছোট্ট আরিফ ও জয়া।
আজ বুধবার সকালে গাজীপুরের কোনাবাড়ীর জরুন এলাকায় বিক্ষোভরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় আহত হয়ে আনজু আরার মৃত্যু হয়েছে। আনজু আরার স্বামী মো. জামাল বলেছেন, তাঁর স্ত্রী শ্রমিক বিক্ষোভে ছিলেন না। বিক্ষোভের কারণে সকাল ৮টার দিকে কারখানা ছুটি হওয়ার পর জরুন এলাকার বাসায় সন্তানদের কাছে ফিরছিলেন আনজু আরা। পথে কোনাবাড়ীর জরুন এলাকায় পুলিশের গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।