রাজনীতির ঘরসংসার

দেশ রূপান্তর মোস্তফা কামাল প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট ২০২৩, ০৮:৪৪

প্রতিপক্ষ দলের ষড়যন্ত্র করা লাগেনি বা প্ররোচনা দিতে হয়নি। নিজ থেকেই স্বামী সাভারের স্থানীয় বিএনপি নেতা ফরহাদ মিয়াকে তালাকের নোটিস দিয়েছেন স্ত্রী রহিমা বেগম। সাভার মডেল থানায় গিয়ে জিডি করে জানিয়েছেন, তিনি সাচ্চা আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। অথচ তার স্বামী ফরহাদ বিএনপি করেন। বিএনপির একটা মিছিলও বাদ দেন না। মিছিলে যেতে মানা করলে তাকে মারধরসহ নির্যাতন করেন। তাই এ স্বামীর সঙ্গে তিনি আর সংসার করবেন না। এর আগে ভুক্তভোগী রহিমা বেগম ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানের কার্যালয়েও এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়েছেন।


পুলিশের জন্য এটি আচ্ছা রকমের উটকা ঝামেলা। কোন পক্ষ নেবে? জিডি বা মামলা পোক্ত করতে গেলে ঘটনার সঙ্গে তাদের আরও কিছু যোগ করতে হয়। সেই দৃষ্টে সাভার মডেল থানার ডিউটি অফিসার বলেছেন, তার স্বামী বিএনপি সমর্থকই নন, নেশাগ্রস্তও। নেশার টাকা না পেলে এই জাতীয়তাবাদী স্বামী তার আওয়ামী স্ত্রীকে মারধর করে। প্রায় ২০ বছরের ঘর-সংসার তাদের। বিয়ে হয়েছিল পারিবারিকভাবে। দুটি সন্তানও হয়েছে। এত বছরে স্বামী-স্ত্রীর জাতীয়তাবাদ নিয়ে সমস্যা হয়নি। আওয়ামী-বিএনপি নিয়ে গোলমাল বাধেনি। সমস্যা হয়ে গেছে গত সপ্তাহে। রহিমার মতে, তার স্বামীর সবচেয়ে গুরুতর অপরাধ, তিনি বিএনপি করেন। এই স্বামী এখন বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিলে বা আওয়ামী লীগের মিছিলে গেলে ল্যাঠা মিটে যাবে কিনা সেই প্রশ্ন করা হয়নি। পুলিশও জানতে চায়নি। দুপক্ষের অভিভাবক বা স্থানীয়রা আলাপ-সংলাপের ব্যবস্থা করলে একটা রাজনৈতিক হিল্লা হয়ে যাওয়ার আশা থাকে।


রাজনীতির বাতাসে আমাদের সামাজিক চিত্রের একটি খণ্ড অংশ ঘটল সাভারে। এর আগে, ফেনীর প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীকে নিয়ে বিএনপি নেতার চম্পট দেওয়া বা রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ নেতার বৌকে নিয়ে বিএনপি নেতার ভেগে যাওয়ার সংবাদের মধ্যে কারও কারও বিকৃত সুখবোধের বিষয় ছিল। আন্দোলনে টানা ব্যর্থতার মধ্যে একে ভিন্ন স্টাইলের প্রতিশোধ ভাবার লোকের অভাব হয়নি রঙ্গভরা এ দেশে। থানা-পুলিশ পর্যন্ত না গড়ালে এসব ঘটনা গণমাধ্যমে নাও আসতে পারত। সাভারেও তাই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us