চট্টগ্রাম নগরীর আকমল আলী ঘাটে রোববার গিয়ে দেখা যায়, সাগর থেকে আসা ট্রলারগুলো থেকে ছোট ছোট খাঁচায় মাছ নিয়ে আসছেন জেলেরা। শ্রীধাম দাশ নামে এক জেলেকে দেখা গেল বেশ সক্রিয়। তিনি জানান, প্রতিদিন জোয়ার-ভাটার উপর নির্ভর করে তারা তিন বার সাগরে যান মাছ ধরতে।
শ্রীদামের ভাষ্যে, মাছ ধরার খরচ এখন বেড়ে গেছে।
“প্রতিদিন তেল খরচ, জেলেদের বেতনসহ সাত থেকে আট হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু খরচের অনুপাতে এবার মাছ পাওয়ার পরিমাণ অনেক কম।”
তার সাথে যখন কথা হচ্ছিল, তখন জোয়ারের সময় সাগরে যাওয়া নৌকাটি ফিরে এসেছে। সেই নৌকায় ইলিশ এসেছে মোটে চার থেকে পাঁচ কেজি। অথচ ট্রলারের এই যাত্রায় ৪ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে বলে জানান এই জেলে।
এবার ইলিশও ধরা পড়ছে কম জানিয়ে শ্রীদাম বলেন, “গত অমাবস্যার জো’তে (জোয়ার) ভালো মাছ পাওয়া যায়নি। সামনে পূর্ণিমার জো আসছে। তাই আশায় আছি, এ জো’তে কিছু বেশি মাছ পাব। সবমিলিয়ে খরচটা তুলে আনতে পারব।”
অন্য জেলেরাও বলছেন, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর গত ২৩ জুলাই রাত থেকে তারা সাগরে মাছ ধরা শুরু করলেও শুরুতে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ট্রলার ফিরে আসতে হয়েছে। আবার যারা সাগরের তীরবর্তী এলাকা থেকে মাছ ধরেন, তারাও স্রোতের কারণে সাগরে যেতে পারেননি। এখন সাগর শান্ত হলেও কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না।