সাম্প্রতিক সময়ে সাউথ এশিয়ান জুনিয়র অ্যান্ড ক্যাডেট টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে দারুণ সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। গত মে মাসে ভারতের অরুণাচলে এই প্রতিযোগিতা থেকে মিলেছে দুই রুপা ও সাত ব্রোঞ্জ মিলিয়ে ৯টি পদক। মালদ্বীপের গত আসরে এসেছিল একটি সোনা ও পাঁচটি ব্রোঞ্জ। এই প্রাপ্তির রেশ মেখে আরও সামনে ছুটতে চান উঠতি খেলোয়াড়রা। কিন্তু বড় সংশয় ও প্রশ্ন তাদের সঙ্গী-জ্বালানির জোগান দিতে পারবে তো ফেডারেশন!
কদিন আগে চট্টগ্রামে শেষ হয়েছে জাতীয় টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ। মেয়েদের এককে সেরা হয়েছেন সাদিয়া রহমান মৌ। ছেলেদের প্রতিযোগিতায় বালক ও সিনিয়র এককে একইসঙ্গে সেরা হয়ে অনন্য কীর্তি গড়েছেন রামহিম লিয়ান বম। এই দুই উঠতি খেলোয়াড়ের পাশাপাশি ফেডারেশনের কর্তা, কোচের কথা শুনেছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। প্রথম দুই পর্বে ছিল মৌ ও রামহিমের গল্প। শেষ পর্বে থাকছে খেলোয়াড়দের দাবি-দাওয়া পূরণে ফেডারেশনের কর্তা ও কোচদের উদ্যোগ, সীমাবদ্ধতার দিকগুলো।
সাম্প্রতিক সাফল্য
২০২১ সালে কাতারের দোহায় এশিয়ান টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেয় বাংলাদেশ। এশিয়ান টেবিল টেনিসের ‘বিশ্বকাপ’ বলে পরিচিত এই প্রতিযোগিতায় ৪৩ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ হয় ২০তম। সেই সুবাদে সুযোগ মেলে ২০২২ বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে সরাসরি খেলার। বার্মিংহামে ছেলেদের দলগত বিভাগে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার-ফাইনালের মঞ্চে ওঠে। সেখানে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের কাছে হেরে থেমে যায় পথচলা।
ওই বছর তুরস্কের কোনিয়াতে ইসলামিক সলিডিটি গেমসে ছেলেদের দলগত বিভাগে কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। মেয়েদের এককে জিবুতি ও পাকিস্তানের প্রতিযোগীকে হারিয়ে সেরা আটে জায়গা করে নেন মৌ।
গত বছর মালদ্বীপের মালেতে সাউথ এশিয়ান জুনিয়র ও ক্যাডেট চ্যাম্পিয়নশিপের অনূর্ধ্ব-১৯ জুনিয়র দলগত বিভাগে সোনা জয় করে বাংলাদেশ। টেবিল টেনিসে এটিই প্রথম আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সোনা জয়ের কীর্তি। এ বছর এই আসরে অরুণাচলে সোনার পদক খোয়ালেও মোট পদকসংখ্যা ৬ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯টি।