কিছুদিন আগেই হয়ে গেল কম্বোডিয়ার নির্বাচন। যা পৃথিবীর মানুষের নজর কেড়েছে। কম্বোডিয়ার ক্ষমতাসীন দল সিপিপি। দলটির নেতা হুন সেন ৩৮ বছর ধরে দেশটির নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি নির্বাচিত শাসকও তিনি। সম্প্রতি সমর্থকদের উদ্দেশে হুন সেনের ৪৫ বছর বয়সী ছেলে এবং কম্বোডিয়ার সেনাপ্রধান হুন মানেট বলেন, শুধু সিপিপির দেশ পরিচালনার সক্ষমতা রয়েছে।
শুরুতে হুন সেন ভিয়েতনামপন্থি কমিউনিস্ট শাসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পরে কম্বোডিয়ায় জাতিসংঘ-সমর্থিত বহুদলীয় ব্যবস্থা চালু হয়। তখনো প্রধানমন্ত্রী ছিলেন হুন সেন। বর্তমানে দেশটিতে একনায়কতান্ত্রিক শাসন চালু রেখেছে সিপিপি। তবে হুন সেনের শাসন চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে, এমন একটি রাজনৈতিক দল রয়েছে কম্বোডিয়ায়। দলটির নাম ক্যান্ডেললাইট পার্টি। তবে এবারের নির্বাচনে দলটি অংশ নিতে পারেনি। নিবন্ধনসংক্রান্ত ত্রুটির অজুহাত দেখিয়ে চলতি বছরের মে মাসে এই দলকে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।
এই সিদ্ধান্ত ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। সমালোচকদের মতে, কম্বোডিয়ায় অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক পরিসর সংকুচিত করার ক্ষেত্রে হুন সেনের আরেকটি পদক্ষেপের উদাহরণ এটি। কেননা, এবারের নির্বাচনে অংশ নেওয়া বাকি ১৭টি দলের মধ্যে কোনোটিরই সিপিপির বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার সক্ষমতা নেই। এই কারণে এবারের নির্বাচনকে কম্বোডিয়ায় কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক বলছেন সমালোচকরা। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নিরঙ্কুশ বিজয় দাবি করেছে সিপিপি। বলা হয়েছে, ৮০ শতাংশের বেশি ভোট তাদের ঝুলিতে পড়বে। এদিকে আশা করা হচ্ছে, নির্বাচনে জয়ের পর বাবা হুন সেনের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন ছেলে হুন মানেট। তাই এটাকে সাধারণ নির্বাচন না বলে বরং ছেলের রাজ্যাভিষেক বলা ভালো, এমনটাই মত বিশ্লেষকদের।