বর্ষা আসার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িঘরে স্যাঁতসেঁতে ভাব, ফাঙ্গাস এবং বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ মানুষের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি বাড়িঘরও সংক্রমণমুক্ত রাখা খুবই জরুরি।
বর্ষাকালে জীবাণু এবং অণুজীবের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে শুরু করে। এর প্রধান কারণ হলো, থার্মাল ইনসুলেশন না হওয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব, ঘরে সূর্যের আলো এবং হাওয়া ঠিকভাবে প্রবেশ না করা। এর ফলে বাড়িঘর স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায় এবং ছত্রাকের সমস্যাও দেখা দেয়। ফলে হাঁপানি, অ্যালার্জি, ডার্মাটাইটিস এবং রাইনাইটিস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। এই সময় বাড়িঘরে স্যাঁতসেঁতে ভাব এবং ছত্রাক থেকে দূরে রাখতে কিছু টিপস মেনে চলতে পারেন। যেমন–
১. বাথরুম বা টয়লেট, বন্ধ ঘর অর্থাৎ যেসব জায়গা সব সময় স্যাঁতসেঁতে থাকে এবং ছত্রাক ও পোকামাকড় সহজেই বাড়তে পারে, সেখানে কীটনাশক ছড়িয়ে এবং ফিউমিগেশন করে মশা, মাছি, পোকামাকড় দূর করতে পারেন।
২. ঘরে সূর্যের আলো প্রবেশ করতে দিন। বাড়ির দরজা, জানালা অল্প সময় হলেও খোলা রাখুন। কারণ প্রয়োজনীয় আলো-বাতাসের অভাবে নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
৩. সপ্তাহে অন্তত এক দিন রান্নাঘরটি ভালো কীটনাশক দিয়ে পরিষ্কার করুন।
৪. লবঙ্গ এবং দারচিনি পানিতে প্রায় আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এর পর এই পানি ফুটিয়ে এটি রুম ফ্রেশনার হিসেবে ব্যবহার করুন। প্রাকৃতিক এই রুম ফ্রেশনার স্প্রে করতে পারেন সব ঘরেই।
৫. রান্নাঘর এবং বাথরুম, যেখানে সবচেয়ে বেশি পানি ব্যবহৃত হয় এবং সূর্যের আলো ঠিকভাবে পৌঁছতে পারে না, এমন জায়গাগুলো শুকনো রাখার চেষ্টা করুন। বাথরুমের টাইলসের ফাঁকে ফাঁকে ময়লা লেগে থাকলে তা ভালোভাবে পরিষ্কার করা অবশ্যই জরুরি।
৬. স্যাঁতসেঁতে হয়ে খারাপ হয়ে যাওয়া দেয়ালগুলো ঠিক করতে, ফাটলগুলোতে ওয়ারপ্রুফ চুন ভরে দিন। এর ফলে সেই জায়গা স্যাঁতসেঁতে হবে না।
৭. স্যাঁতসেঁতে ঘরে ঘুমাবেন না। এতে নানা ধরনের সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।
৮. আলমারিতে ন্যাপথলিন রেখে দিন। সব ধরনের আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখে ন্যাপথলিন। পাশাপাশি জামাকাপড়ও ঠিক রাখে।
৯. ন্যাপথলিন, স্পিরিট ও নিমের তেল পোকামাকড় দূর করতে বেশ উপকারী।
১০. দামি আসবাবের নিচে একটি টিনের বা কাচের পাত্রে এক টুকরো সালফার বা গন্ধক রেখে দিন, এতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে আসবাব মুক্ত থাকবে। সহজে ঘুণেও ধরবে না।