কোভিড মহামারি আঘাত হানার এক বছর আগে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রায় ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল, যা এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধমান অর্থনীতি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল। কোভিড-১৯ ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অনেক দেশের অর্থনীতিতে নানা প্রভাব ফেলেছে এবং বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুর্বল হয়েছে, মুদ্রাস্ফীতির প্রভাবে টাকার প্রায় ২৫ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে, বেশির ভাগ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ সংকুচিত হয়েছে। এই সমস্ত ঘটনা এ খাত সংশ্লিষ্ট সবাইকে কীভাবে সরকার বিভিন্ন উপায়ে আরো অভ্যন্তরীণ রাজস্ব তৈরি করতে পারে, তা নিয়ে নতুন করে ভাবিয়েছে, যার মধ্যে অনেকগুলো আইএমএফ এবং অন্যান্য তহবিল প্রদানকারীরা ইতিমধ্যে সুপারিশ করেছে। বিভিন্ন মহলের পরামর্শে দেখা গেছে যে, অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বৃদ্ধির একটি মূল ক্ষেত্র হলো আয়করের আওতা ও আদায় বৃদ্ধি, যার বিশাল প্রবৃদ্ধির সুযোগ ও বাস্তব সম্ভাবনা রয়েছে।
আয়কর দেশের অভ্যন্তরীণ রাজস্বের প্রধান উৎস এবং করদাতারাই সরকারকে কর প্রদান করে। সুতরাং, যথাসম্ভব ঝামেলামুক্তভাবে করদাতাদের কর দেওয়ার সুযোগ করে দিতে ওয়ান স্টপ সেবার মাধ্যমে কর কর্মকর্তাদের একটি ভালো পরিবেশ নিশ্চিত করা উচিত। এনবিআর যদি আরো ভালো পরিবেশ দিতে সক্ষম হয়, তাহলে আরো বেশি করদাতা তাদের রিটার্ন দাখিল করবে এবং শেষ পর্যন্ত আরো বেশি মানুষকে করের আওতায় আনা যাবে।