দেশে ঠিক কতসংখ্যক মানুষ থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত, এ-সংক্রান্ত সরকারি বা বেসরকারি কোনো পরিসংখ্যান নেই। যেহেতু ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাপন ও রোগের ধরনের মিল আছে, তাই রোগটির পরিস্থিতি বুঝতে সে দেশের পরিসংখ্যান অনুসরণ করছেন দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। সে হিসাবে বাংলাদেশে চার কোটির মতো থাইরয়েড রোগী আছে। সব বয়সী ও শ্রেণির মানুষের এই রোগ হয়। তবে নারীদের মধ্যে বেশি হয়।
এমন তথ্য জানিয়ে বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও থাইরয়েড টাস্কফোর্সের সমন্বয়ক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম দেশ রূপান্তরকে বলেন, অধিকাংশ রোগী, অর্থাৎ মোট রোগীর চার ভাগের তিন ভাগ এখনো শনাক্তকরণের আওতার বাইরে। আর চিকিৎসা পাচ্ছে মাত্র ২৫ শতাংশ রোগী। চিকিৎসা দূরে থাক, বাকি ৭৫ শতাংশ শনাক্তকরণের বাইরেই রয়ে গেছে। সে হিসাবে কোনোভাবেই ১ কোটির বেশি রোগী চিকিৎসা পাচ্ছে না।