বঙ্গবাজারে আগুন: দুর্যোগ মোকাবিলা, আশা করাটাই এই দেশে অন্যায়

প্রথম আলো সুবাইল বিন আলম প্রকাশিত: ০৫ এপ্রিল ২০২৩, ১৬:০৩

গত বছরের নভেম্বরেই বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ে লিখেছিলাম। শীত আসছিল, তখন সবাইকে সাবধান আর সরকারকে ব্যবস্থাপনা ঠিক করার অনুরোধ ছিল। কিন্তু শেষ কয়েক দিনের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, আমরা কেন লিখি? আমাদের লেখা কি সরকারের কেউ দেখে? ফেসবুকে বঙ্গবাজারের ছবি দেখে কষ্টে বুক ভেঙে যাচ্ছে। বেশ কয়েকবার সামলে উঠলেও এবার এই মন্দার মধ্যে ব্যবসায়ীরা কীভাবে সামলাবেন!


বঙ্গবাজার—আমাদের অনেকের স্মৃতি আছে এখানে বাজার করার। এ যুগের মানুষ বুঝবে না, আমাদের দেশের মানুষকে বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা কীভাবে স্বল্পমূল্যের পোশাক দিয়ে চলতে সাহায্য করেছে। আজ তা আর নেই। ঠিক বিপরীত পাশেই ফায়ার সার্ভিসের সদরদপ্তর, তা-ও আগুনের হাত থেকে বাঁচানো যায়নি! এটাই আমাদের সক্ষমতা? আর কত কাছে ফায়ার সার্ভিস অফিস সম্ভব? কেন তবে বঙ্গবাজারকে বাঁচানো যায়নি? উত্তর কে দেবে? এখানে পরিষ্কারভাবে ফায়ার সার্ভিসের অদক্ষতা ফুটে উঠেছে।


এর আগে দুটি ভবনে পরপর বিস্ফোরণ দেখলাম। সেখানেও নাজেহাল অবস্থা! উদ্ধার অভিযানের একপর্যায়ে রাতে উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে দিতে হলো। কারণ, কলামের স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। রাজউক থেকে পরদিন মানুষ এসে ঠিক করার পর আবার কাজ শুরু হয়। কেন রাতে জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করা যায়নি? এগুলো তো যেকোনো উদ্ধার অভিযানের মৌলিক বিষয়।  ১২ ঘণ্টা বিরতিতে একজনও যদি মারা যান, এটা তো কাঠামোগত হত্যা।


তারপর গ্যাসের কথা বলা হচ্ছে? বাসাবাড়ির নিরাপত্তাব্যবস্থা দেখার দায়িত্ব কাদের? অনেক বাড়িতে ২০ বছরের ওপরে গ্যাস বা বিদ্যুতের লাইন করা হয়েছে। মাসে মাসে বিল বাড়াচ্ছেন, কিন্তু নিরাপত্তা দেখার দায়িত্ব যাঁদের, তাঁদের কেন অবহেলা! গাড়ির যেমন নিয়মিত সব জিনিস চেক করা লাগে, বাসাবাড়িরও বিদ্যুতের লাইন আর গ্যাসের লাইনের চেক আবশ্যক। সিটি করপোরেশনের ট্যাক্স বাড়াতে চিন্তা করা লাগে না, কিন্তু কোনো কাজের দায়িত্ব নেওয়ার কেউ নেই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us