পুতিনের বন্ধু নন সি চিন পিং

প্রথম আলো রাফায়েল বেহর প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২৩, ০৬:০৪

আবারও বিশ্ব পূর্ব ও পশ্চিমের শক্তিগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এটা কি নতুন ঠান্ডা যুদ্ধ নাকি আগের ঠান্ডা যুদ্ধের অবশেষ থাকা উত্থিত উত্তাপ? এর উত্তর দুটিই। ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে, বিশ শতকের সেই পরাশক্তির মধ্যকার দ্বন্দ্ব এখনো শেষ হয়নি। যদিও সেই দ্বন্দ্বে সামরিক ও অর্থনৈতিক দুই দিক থেকেই স্পষ্টত জয়ী পক্ষ রয়েছে। আর সেই পক্ষটি অবশ্যই সোভিয়েত ইউনিয়ন নয়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট সেই অপমানের জ্বালা পুষে রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, অন্ততপক্ষে জাতীয় কল্পনার ক্ষেত্রে।


রাশিয়া এখনো সেই ধারণা পুষে রেখে বিশ্বে একটা উপদ্রব তৈরি করছে। পারমাণবিক শক্তিধর একটি দেশের যদি অন্য দেশের ভূমি গ্রাসের ক্ষুধা থাকে তাহলে এটা উপেক্ষা করা যায় না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন ক্রেমলিনের কাছে অনেক অতীতের একটা কল্পনা। নিকট ভবিষ্যতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা চীনেরও একমাত্র রয়েছে।


এই সপ্তাহে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিং পিং যে মস্কো সফর করছেন, সে ক্ষেত্রে এই প্রেক্ষাপটটা বিবেচনা করা অত্যন্ত আবশ্যক। এ সফরকে কেন্দ্র করে ক্রেমলিন প্রোপাগান্ডা শুরু করেছে। তারা চিত্রিত করতে চাইছে যে এ সফর মস্কোর সঙ্গে বেইজিংয়ের গভীর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ। এটা নিশ্চিতভাবেই রুশদের ক্ষতবিক্ষত অহম থেকে তৈরি করা কল্পকাহিনি। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের বন্ধু নন। বরং তিনি একজন পৃষ্ঠপোষক, যিনি তার মক্কেলের কাছ থেকে সম্মান নিতে এসেছেন।


ইউক্রেনে আগ্রাসন রাশিয়ার একটি মহাভুল। এই আগ্রাসন শুরুর আগে পুতিনের কাছে বিকল্প ছিল। প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রি করে পশ্চিমাদের কাছে তিনি তাঁর অবস্থান পোক্ত করছিলেন। অথচ পুতিন এখন অনেক দেশের জন্য সস্তায় পেট্রলস্টেশন খুলে বসা একজন যুদ্ধাপরাধী, যিনি পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে থোড়াই কেয়ার করেন। আর তাঁর অতিরিক্ত ব্যবসা হলো, যুদ্ধবাজদের কাছে ভাড়াটে সৈন্য সরবরাহ করা।


একটা জীবন্ত সত্য হলো, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যতটা ভাবে ততটা একঘরে নন পুতিন। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ ন্যাটোর আগ্রাসনের ফল—মস্কো পক্ষপাতদুষ্টের মতো করে বারবার করে এই বয়ান দিয়ে চলেছে। তাঁর এই মতটি দক্ষিণ বিশ্বে ভালোই বিকোচ্ছে। বিশেষ করে পশ্চিমাদের সামরিক ঔদ্ধত্যের যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের কাছে। আর অন্যদের কাছে ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধ ইউরোপীয়দের সংকীর্ণ জাতিবিবাদ ছাড়া আর কিছু নয়। ফলে পক্ষ নেওয়ার কোনো কারণ নেই। প্রকৃতপক্ষে রাশিয়ার সম্পদের ক্রেতা তৈরি হচ্ছে, টেকসই কোনো মিত্র নয়। উদার গণতন্ত্রের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে সে রকম কোনো সুসংগত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মডেল রাশিয়া কিংবা চীনের নেই।


মতাদর্শ হিসেবে অচল হওয়া সত্ত্বেও সোভিয়েত ইউনিয়ন তাদের মতাদর্শকে কোনো একটি দেশের স্বার্থের চেয়েও মহত্তর বিষয় হিসেবে দেখাত। সমাজতন্ত্র ছিল তাদের কাছে বৈশ্বিক ধর্মমত। পুতিনবাদ অবশ্য সে রকম মহত্তর কিছু দাবি করে না। এটা স্বজনতোষণবাদ ও রক্তপিপাসু জাতিবাদের সংকর। অবশ্য পুতিনের উপচে পড়া ভক্তকুলের কমতি নেই। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অতি ডানপন্থীদের মধ্যে পুতিনের সংকীর্ণ ও বিষাক্ত বক্তব্যের প্রচুর শ্রোতা রয়েছে। পশ্চিমের ডিজিটাল তথ্যভান্ডারে অপতথ্য ছড়িয়ে এবং নির্বাচনী প্রচারণায় কালোটাকা ঢেলে ক্রেমলিন নিজেদের প্রভাব বিস্তার করছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us