দৈনিকসিলেটডটকম: হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ ও অলিপুর অংশে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা তিন শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বুলডোজার দিয়ে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। ঢাকা সিলেট মহাসড়কে দুই পাশে শায়েস্তাগঞ্জ ও অলিপুর পয়েন্টসহ বিভিন্ন পয়েন্টে শত-শত অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠে। এছাড়াও ফুটপাতে জনগণের চলাচলের পথে বিভিন্ন মালামাল রেখে সৃষ্টি করা হচ্ছে প্রতিবন্ধকতা। ফলে যানজটে দুর্ভোগ পোহাতে হয় দূরপাল্লার পরিবহনসহ সাধারণ যাত্রীদের। প্রায় সময়ই ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনাও। দীর্র্ঘদিন ধরে মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠা এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি করে আসছেন স্থানীয় বাসিন্দাসহ পথচারীরা। সম্প্রতি এ বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশের পর নড়েছড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। অবশেষে মহাসড়কের পাশের এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদুল হাসান চৌধুরী ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালান। এ সময় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলামসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সোমবার সড়ক ও জনপথ (সওজ) কর্তৃপক্ষ অবৈধ স্থাপনা সরানোর নির্দেশ দিয়ে মাইকিং করে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হবিগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, 'মহাসড়কের পাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা সব স্থাপনা পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ পয়েন্ট ও অলিপুর পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৩ শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।' ভুক্তভোগী কামরুল ইসলাম বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগকে অনুরোধ করা হচ্ছে। কিন্তু এতোদিন তারা কোনও কর্ণপাত করেনি। অবশেষে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার ফলে জনভোগান্তি কমে আসবে বলে।' ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বলেন, 'অবৈধ ব্যবসায়ীদের জন্য আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাতে অনেক সমস্যা হতো। অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করায় আমরা এখন নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালাতে পারবো বলে আশা করছি।'