ক্যানসারের নাম শুনলেই সবাই আঁতকে ওঠেন। মারণব্যাধি হলেও ঠিক সময়ে ধরা পড়লে ও সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করা হলে ক্যানসার থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্যানসার ধরা পড়ে এমন সময়ে যে, চিকিৎসকদের তখন আর কিছুই করার থাকে না। ঠিক একইভাবে বিরল হলেও পিত্তনালির ক্যানসার ধরা পড়ে অনেক দেরিতে।
কারণ প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগের সব লক্ষণ দেখলেই তাকে সাধারণভাবে জন্ডিস বা লিভার বড় হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা বলেই মনে হয়। ফলে যখন আসল রোগ ধরা পড়ে, তখন বিশেষ কিছু করার থাকে না।
চিকিৎসকদের মতে, পিত্তনালির ক্যানসার হলে ওই অংশের কোষগুলো হঠাৎ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়, যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলা হয় কোলানজিয়োকার্সিনোমা।
এই ক্যানসার সম্পর্কে আগে থেকেই সচেতন হতে হবে। জেনে নিন পিত্তনালির ক্যানসারের প্রধান কিছু লক্ষণ-
জন্ডিস
পিত্তরসের মধ্যে মিশে থাকে বিলিরুবিন নামক যৌগ। লিভার যদি এই যৌগ শোষণ করতে না পারে তাহলে সেই অতিরিক্ত বিলিরুবিন রক্তে মিশে যায়।
সেখান থেকেই জন্ডিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। পিত্তনালির ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার প্রথম ও প্রধান লক্ষণ হলো জন্ডিস। তবে জন্ডিসে আক্রান্ত হওয়া মানেই কিন্তু তা ক্যানসার নয়।
চুলকানি
চিকিৎসকদের মতে, পিত্তনালির ক্যানসারে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগীদের মধ্যেই চুলকানির সমস্যা দেখা যায়। এক্ষেত্রে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণেই গায়ে র্যাশ বের হয় ও হতে পারে চুলকানি।
মলের রং পরিবর্তন
মলের রং কেমন হবে সেটিও নির্ধারণ করে বিলিরুবিন। স্বাভাবিকভাবে মলের রং হালকা থেকে গাঢ় হলুদ পর্যন্ত হতে পারে। যদি হঠাৎই কারও মলের রঙে পরিবর্তন আসে বা সাদাটে হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
প্রস্রাবের রং পরিবর্তন
রক্তে মিশে থাকা অতিরিক্ত বিলিরুবিন প্রস্রাবের সঙ্গে মিশে গেলে তার রংও পাল্টে দিতে পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার পরও মূত্রের রং যদি হঠাৎ অতিরিক্ত গাঢ় হয়ে যায় তাহলে সতর্ক হতে হবে।
জ্বর, বমি কিংবা পেটে ব্যথা
সাধারণত পেটের ডান দিকে ব্যথা ও মাঝে মধ্যেই জ্বর আসার মতো লক্ষণ কিন্তু পিত্তনালির ক্যানসারের কারণ হতে পারে। এছাড়া খাবার খেয়ে হজম করতে না পারা কিংবা বমি হওয়াও কিন্তু এই রোগের লক্ষণ হতে পারে।