বইমেলা আসছে

ajkerpatrika.com জাহীদ রেজা নূর প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯:৩৪

বইমেলা আসছে। করোনার প্রতাপে দুই বছর বইমেলা ছিল কিছুটা হতোদ্যম। এবার তোড়জোড় করেই শুরু হচ্ছে মেলা। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তা চলবে।


মেলা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে জল্পনা-কল্পনা। কাগজসহ প্রকাশনাশিল্পের আনুষঙ্গিক অনেক কিছুর দাম বাড়ার কারণে প্রকাশকেরা মনে করছেন, এবার বইয়ের দাম বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই। বাড়তি দামে পাঠকেরা বই কিনবেন কি না, তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। প্রতিষ্ঠিত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি তরুণ প্রতিভাবান প্রকাশকেরাও এবার নতুন, ভালো বই প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছেন।


প্রচারের একটা ধরন দেখতে পাচ্ছি, যা নতুন নয় যদিও, কিন্তু এবার হচ্ছে তার বহুল ব্যবহার। লেখকেরা ফেসবুকে নিজের বইয়ের প্রচ্ছদ প্রকাশ করে প্রি-অর্ডারের জন্য আহ্বান রাখছেন। এতে কতটা কাজ হচ্ছে জানি না, কিন্তু বই সম্পর্কে একটা ধারণা দিয়ে পাঠককে আকৃষ্ট করার জন্য এই পথ মন্দ নয়। ফেসবুক এখন অনেক বড় বড় সংবাদমাধ্যমের চেয়েও বেশি নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠেছে কারও কারও কাছে।


বলতে হয়, গণমাধ্যম এখন কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় সাহসী নয়, বরং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারে অজস্র ভুল-মহাভুলের পরেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফেসবুকই মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে। এমনও দেখা গেছে, ফেসবুকে জনমতের প্রকাশ দেখে সরকারও কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বা পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে। এ ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে বলা যায়, প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমগুলোর চেয়ে ফেসবুক অনেক বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে। সেই ফেসবুককে প্রচারের কাজে ঠিকভাবে লাগাতে পারলে বই বিক্রির ক্ষেত্রে তা ভূমিকা রাখতেই পারে।


একটি ব্যাপারে কথা না বললেই নয়। এবার মেলায় আদর্শ প্রকাশনী বলে একটি প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। এই প্রকাশনীর তিনটি বইয়ে নাকি সরকারবিরোধী প্রচারণা আছে। কথা হলো, কেউ কি বইগুলো পড়ে দেখেছেন? যেকোনো বইয়ে যে কারও বিরুদ্ধে সমালোচনা থাকতেই পারে, তাতে সে বইটি নিষিদ্ধ করতে হবে কেন? এইটুকু সহিষ্ণুতা থাকা উচিত। সরকারবিরোধিতা থাকলে কি কোনো বই নিষিদ্ধ করা যায়? সমালোচনার উত্তর দেওয়ার মতো সাহস কি সরকারের নেই? এ বিষয় নিয়ে বড় করে আলোচনা হতে হবে।নইলে ভবিষ্যতে লেখালেখির ক্ষেত্রে সেন্সরের ভূত এসে গলা টিপে ধরতে পারে।


দুই. দীর্ঘদিনের পর্যবেক্ষণে দেখেছি, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রকাশকেরা ভালো বই লুফে নেন। তবে ভালো বই গ্রহণ করার আগে তাঁরা লেখকের ‘ধার’ ও ‘ভার’ পরীক্ষা করে নেন। একটি বই ভালো হলেই হয় না, সেই বই কে লিখেছেন, সেটাও বিবেচনার বিষয়। যদি লেখক তেমন পরিচিত না হন, তবে তিনি ভালো লিখলেও সেই বই পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চল আমাদের দেশে নেই বললেই চলে।বলতে চাইছি, বেশির ভাগ প্রকাশনালয়ে এমন কোনো সম্পাদকমণ্ডলী নেই, যাঁরা পাণ্ডুলিপি যাচাই-বাছাই করে তা ছাপার যোগ্য কি অযোগ্য সেই মত দিতে পারেন। এমন কোনো সম্পাদকমণ্ডলী নেই, যাঁরা একটি বইকে সুসম্পাদিত করে তারপর বাজারে আনার ব্যবস্থা করেন। এই ঘাটতিটা রয়েই গেছে। ভালো বই এবং নামী লেখক হলে তো সোনায় সোহাগা। কিন্তু ভালো বই ও অনামী লেখককে চিনে নেওয়ার প্রবণতা না থাকলে নতুন লেখক উঠে আসবে না।


লেখকের জনপ্রিয়তা প্রকাশকের মুখে হাসি ফোটায় বটে, বইয়ের কাটতি বাড়ায় বটে, কিন্তু সেটাই শেষ কথা নয়। ফিকশন একসময় বই কেনাকাটায় সবচেয়ে বড় জায়গাটা নিয়ে নিয়েছিল। হুমায়ূন আহমেদের বই কেনার জন্য পাঠকের যে বিশাল সারি দেখা যেত, সে কথা নিশ্চয়ই কেউ ভুলে যায়নি। তেমনি মারজুক রাসেল কিংবা সাদাত হোসাইনের বইয়ের জন্যও এখন পাঠকের বড় সারি দেখা গেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us