চান্দ্র নববর্ষ উৎসবকে ঘিরে চীনা সংস্কৃতির সিংহনাচ মালয়েশিয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দেশটির সিংহনাচের দলগুলো রেকর্ড গড়ছে আন্তর্জাতিক মঞ্চে। লিখেছেন নাসরিন শওকত
চীনা ঐতিহ্য
মারিয়াম আব্দুল নাজর। বয়স ২৭। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের বাসিন্দা তিনি। মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষ হওয়ায় সাত-পাঁচ না ভেবেই যোগ দিয়েছেন কাজে। মারিয়াম মুসলিম পারিবারের মেয়ে। তার একমাত্র প্যাশন সিংহনাচ। মারিয়ামের যখন বয়স ১৩ , তখন থেকেই তিনি সিংহনাচ শেখা শুরু করেন। সে সময় তাকে নাচের প্রশিক্ষণে সঙ্গ দিত তার ১৪ বছরের ভাই। মালয়েশিয়ার সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী সিংহ নাচের দল মুহিবাহ লায়ন ডান্স ট্রুপ। ১৯৮৪ সালে দেশের প্রথম বহুজাতিক নাচের এই দলটি গড়ে ওঠে। মুহিবাহ নামটি এসেছে মালয় শব্দ ‘মুহিব্বাহ’ থেকে, যার অর্থ বন্ধুত্ব বা বন্ধুত্বের অনুভূতি। সিংহ নাচের প্রতি নিজের অনুরাগের কথা তুলে ধরে সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরাকে মারিয়াম নাজর বলেছেন, ‘এই নাচের সংগীত থেকে আমি আমার শক্তি সঞ্চয় করতাম। বিশেষ করে ড্রামের মূর্ছনা আমাকে উজ্জীবিত করত বেশি। বড় বড় চোখের সিংহগুলোকে তখন দেখতে বেশ সুন্দর লাগত আমার।’ মারিয়াম লায়ন ডান্স অ্যাসোসিয়েশন ও খুয়ান লোক ড্রাগন দলের নাচের প্রশিক্ষক। এ দলে তার সতীর্থদের মধ্যে যেমন রয়েছে মালয়েশিয়ার জাতিগত সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয় নৃত্যশিল্পী, তেমনি আরও আছে জাতিগত সংখ্যালঘু ভারতীয় ও অল্প কিছু বিদেশিও। নবজাতকের মা হওয়ার কারণে মারিয়ামের জন্য সপ্তাহের তিন দিন করে প্রশিক্ষণ দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। তারপরও সময় বের করে প্রশিক্ষণে সময় দিতে হয় তাকে। কারণ সময়টা এখন যে ‘লুনার নিউ ইয়ার’ বা চান্দ্র নববর্ষ। মালয়েশিয়ার সিংহের নাচ দলগুলোর জন্য সবচেয়ে ব্যস্ততার সময় এটি।