যেসব চর্মরোগের সঙ্গে আমরা পরিচিত তার মধ্যে শ্বেতিরোগ অন্যতম। রোগটির সঙ্গে কমবেশি আমরা সবাই পরিচিত। ছোঁয়াচে রোগ না হলেও যে কেউ যে কোনো সময় এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন, তবে একবার শরীরে বাসা বাঁধলে তা থেকে মুক্তি পাওয়া দুস্কর।
একবার এ রোগ হলে দ্রুত তা শরীরের অন্য স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিকার পাওয়ার খুব একটা উপায়ও থাকে না। আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার ফলে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। 'শ্বেতি' শব্দটি শুনলে বোঝা যায় সাদা। ত্বকের রং পরিবর্তিত হয়ে একেবারে সাদা রং, অর্থাৎ দুধে সাদা যেটা বলে- এ রকম রং হয়ে যায়। শরীরের রং এমন আকার ধারণ করলে সন্দেহ করা হয় সেটি শ্বেতিরোগের দিকে যাচ্ছে। ত্বকের অনেক ধরনের রোগ আছে, যেগুলোর কারণেও ত্বক সাদা হয়ে যেতে পারে। এই সাদা শ্বেতি রোগের সঙ্গে প্রায় সময়ই সমস্যা তৈরি করে। তখন সেগুলোকে বিবেচনায় আনতে হয়।
খুব সহজভাবে বলতে গেলে ত্বকের চার-পাঁচ ধরনের রোগ আছে, যেগুলো প্রায়ই শ্বেতি রোগ বলে অনেকে বিবেচনা করতে পারে। ত্বকের ছুলি এ ধরনের একটি রোগ। অনেকে ছুলি সমস্যা নিয়ে আসেন। তাঁরা মনে করেন, এটি শ্বেতি রোগ। এ ছাড়া সেভরিক ডার্মাটাইটিস, অর্থাৎ খুশকিজনিত ত্বকের রোগ। খুশকি মাথায় হয়- এমনটি সবাই জানে। তবে খুশকি অনেক সময় মুখেও হয়ে যায় বা শরীরের অন্য জায়গায়ও হয়। খুশকি যখন মুখে হয়, তখন কিন্তু সাদা দেখায়। তখন রোগী চিন্তিত হয়ে যায়। যত অল্প বয়সে শ্বেতির চিকিৎসা করা যায় তত ভালো। শরীরের যে কোনো জায়গায় সাদা দাগ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে চিকিৎসা নিন।