চীনকে ঠেকাতেই অস্ত্রে সজ্জিত হচ্ছে জাপান

প্রথম আলো ব্রহ্ম চেলানি প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ২১:০৪

জাপান কয়েক দশক ধরে তার আন্তর্জাতিক প্রভাবের ভিত্তি হিসেবে সামরিক শক্তিকে নয় বরং অর্থনৈতিক শক্তিকে ধরে রেখেছে। কিন্তু গত কয়েক বছরে চীনের প্রলম্বিত কালো ছায়া জাপানের দোরগোড়ায় অন্ধকার বিছিয়ে দিতে থাকায় টোকিও এখন তার শান্তিবাদী নিরাপত্তা নীতি (যে নীতি অনুসরণের কারণে তার প্রতিরক্ষা ব্যয় জিডিপির প্রায় ১ শতাংশে সীমাবদ্ধ রাখতে হয় এবং তা তার আক্রমণাত্মক ক্ষমতাকে খর্ব করে) থেকে সরে আসছে বলে মনে হচ্ছে।


ভারতীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থার সুরক্ষায় কেন্দ্রীয় ভূমিকা রাখার লক্ষ্যেই জাপান তাঁর নিরাপত্তা নীতিতে পরিবর্তন আনছে। গত মাসে জাপান একটি সাহসী নতুন জাতীয়-নিরাপত্তা কৌশল উন্মোচন করেছে। এই কৌশল অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছরে তারা প্রতিরক্ষা ব্যয় দ্বিগুণ করবে বলে পরিকল্পনা করেছে। এতে মোট খরচ হবে ৩২ হাজার কোটি ডলার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এ পর্যন্ত জাপান বৃহত্তম সামরিক শক্তি গঠনে একসঙ্গে এত খরচ করেনি। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পর বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম প্রতিরক্ষা বাজেটের দেশ হতে যাচ্ছে জাপান। এই নতুন কৌশল অনুযায়ী, জাপান যুক্তরাষ্ট্র থেকে টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের মতো অস্ত্র নেবে এবং নিজস্ব হাইপারসনিক অস্ত্রের বিকাশ বিকাশ ঘটাবে।


গত জুলাইয়ে আততায়ীর গুলিতে নিহত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের আমলে এ পরিবর্তনের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল। আবের তত্ত্বাবধানেই জাপান প্রতিরক্ষা ব্যয় প্রায় ১০ শতাংশ বাড়িয়েছে। আরও উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো জাপান সামরিক বাহিনীকে দেশের বাইরে মোতায়েন করার জন্য তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ‘শান্তি সংবিধান’-এর পুনঃ পর্যালোচনা করেছে। জাপানের সংবিধানের যে ৯ নম্বর অনুচ্ছেদ জাপানকে ‘হুমকি দেওয়া ও বলপ্রয়োগ’ থেকে বিরত রাখে, শিনজো আবে সেই অনুচ্ছেদটি সংশোধন করারও চেষ্টা করেছিলেন। তবে জনপ্রিয় বিক্ষোভ তাঁর সেই চেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করেছিল।


প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা কিন্তু আবের মতো কোনো প্রতিরোধের মুখে পড়েননি। বরং জনমত জরিপ দেখা গেছে, বেশির ভাগ জাপানি নাগরিক সামরিক শক্তি গঠনকে সমর্থন করছেন। কিশিদা যখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, তখন তাঁকে ‘শান্তির পারাবত’ মনে করা হতো। কিন্তু এখন তিনি ঠিক উল্টো পথে হাঁটছেন। এ পরিবর্তনের কারণ খুবই স্পষ্ট।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us