শীতের সবজি মটরশুঁটি ব্যবহার করতে পারেন তরকারি, স্যুপ কিংবা সালাদে। এট যেমন পুষ্টিকর, তেমনি স্বাদেও অনন্য। প্রতি ১০০ গ্রাম মটরশুঁটিতে মেলে ৮০ কিলোক্যালোরি শক্তি। এছাড়া ১৪.৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট ০.৫ গ্রাম ও প্রোটিন পাওয়া যায় ৫.৪ গ্রাম। আরও মেলে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিড, বিটাক্যারোটিন, ভিটামিন এ, ফসফরাস, জিঙ্ক, ভিটামিন বি-কমপ্লেক্সের মতো উপাদান। জেনে নিন মটরশুঁটি খাওয়ার ১০ উপকারিতা।
১। ফাইবার বা আঁশের চমৎকার উৎস মটরশুঁটি। নিয়মিত সবজিটি খেলে তাই দূরে থাকা যায় হজমের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকে।
২। মটরশুঁটিতে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল আছে। মেক্সিকান গবেষকরা বলছেন, কেউ যদি প্রতিদিন ২ মিলিগ্রাম পলিফেলনসমৃদ্ধ খাবার খান তাহলে তার পাকস্থলী ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। আর এক কাপ মটরশুঁটিতে অন্তত ১০ মিলিগ্রাম পলিফেলন থাকে।
৩। রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে মটরশুঁটি।
৪। ভিটামিন বি১, বি২, বি৩ এবং বি৬ এর উৎস মটরশুঁটি শরীরের হোমোসাইস্টাইন লেভেল কমায়। একারণে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।
৫। শরীরে হাড় মজবুত রাখতে সহায়তা করে এই সবজি।
৬। ফলিক অ্যাসিডের উৎস মটরশুঁটি খেতে পারেন প্রসূতি মায়েরা।
৭। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে মটরশুঁটি। শিশুদের প্রতিদিন খাওয়াতে পারেন উপকারী এই সবজি।
৮। নিয়মিত মটরশুঁটি খেলে ত্বক উজ্জ্বল থাকে।
৯। মটরশুঁটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। এ কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি বেশ উপকারী।
১০। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে।