শ্বাস নিতে না পারলে ত্বকে নানান সমস্যা দেখা দেয়।
আর শীতের সময় ত্বকে নানান ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি মেইকআপ তো আছেই।
তবে এসব প্রসাধনী ব্যবহার ত্বকের লোমকূপ আটকে নানান সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
ভারতের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ডিম্পল এইচ দোদা টাইমসঅবইন্ডিয়ায়’তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেন, “নিয়মিত ত্বক উপযোগী প্রসাধনী ব্যবহার উপকারী। তবে মাঝে মধ্যে ত্বককে শ্বাস নিতে দেওয়া আরও বেশি প্রয়োজন।”
ত্বককে শ্বাস নিতে দেওয়ার অর্থ কী
ডা. ডিম্পল বলেন, “ত্বক পরিষ্কার রাখা মানেই একে শ্বাস নিতে দেওয়া নয়। রক্তের অক্সিজেন ত্বকে পুষ্টি যোগায়। লোমকূপে প্রসাধনী আবদ্ধ হতে না দেওয়ার অর্থ ত্বককে শ্বাস নিতে দেওয়া।”
শ্বাস নিতে না দিলে তা ত্বকের ক্ষতি হয়। ব্রণ, তেল চিটচিটেভাব, শুষ্কতা এমনকি বলিরেখাও দেখা দিতে পারে এর ফলে।
যে কারণে ত্বকের শ্বাস নেওয়া জরুরি
ত্বকের লোমকূপ যত কম আবদ্ধ থাকবে, ব্যবহৃত প্রসাধনী তত বেশি শোষণ করবে। আর ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
এতে ত্বকের পিএইচয়ের স্বাভাবিক মাত্রা বজায় থাকে। যে কারণে অতিরিক্ত শুষ্কতা ও তৈলাক্ততার সমস্যা দেখা দেয় না।
মেইকআপ ব্যবহারের কারণে হওয়া ত্বকের ক্ষতি বা অস্বস্তি সমাধানে ত্বককে কিছুটা সময় দিতে হয়।
মেইকআপের বিভিন্ন ব্রান্ড ব্যবহারের ওপরেও ত্বকের বিষাক্ততার মাত্রা নির্ভর করে।
ত্বককে শ্বাস নিতে দেওয়ার উপায়
আর্দ্রতা: ঝকঝকে ত্বকের জন্য আর্দ্রতা রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। নানানভাবে ত্বক আর্দ্র রাখা যায় যেমন- পানি পান ও ময়েশ্চারাইজার।
ত্বক আর্দ্র রাখা শ্বাস নিতে সহায়তা করে। কারণ পানি পানে দেহে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ে। ত্বকের উপরিভাগের পাশাপাশি দেহের প্রতিটি কোষে অক্সিজেনের সরবারহ নিশ্চিত করা প্রচুর পানি পানের ওপরে নির্ভর করে।