ডিসেম্বরের শুরুতেই পাইকারি বাজারে আসতে শুরু করে আমন ধানের নতুন চাল, এতে মাসের মাঝামাঝি থেকে পাইকারি বাজারে মোটা চালের দাম কমতে শুরু করে, কিন্তু তখন খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েনি, অবশ্য এক সপ্তাহ ধরে কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা পর্যন্ত কমেছে, সুগন্ধি চালের দামও কমেছে, কমেনি চিকন চালের দাম। সপ্তাহের ব্যববধানে প্রতি ডজন ডিমের দাম ১০ টাকা বেড়েছে, মুরগি ও সবজির দাম ক্রেতার নাগালেই আছে,আটা, ময়দা, ভোজ্য তেল, ডাল, পেঁয়াজ, রসুনসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম অপরিবর্তিত, গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাবুবাজার, কারওয়ান বাজার ও জোয়ারসাহারা বাজারের খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা এসব তথ্য জানান।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে আমনের নতুন চাল ব্যাপকভাবে এসেছে, এর প্রভাবে কমেছে চালের দাম।
বাবুবাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ী সলিম উদ্দিন গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, বাজারে এখন মোটা চাল ব্রি-২৮, পাইজাম ও স্বর্ণা বস্তায় (৫০ কেজি) ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত কমে বিক্রি হচ্ছে, ব্রি-২৮ নতুন চালের বস্তা (৫০ কেজি) বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৪৫০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা, যা আগে ছিল দুই হাজার ৭০০ থেকে দুই হাজার ৭৫০ টাকা, পাইজাম ও স্বর্ণা নতুন চালের বস্তা বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৩০০ থেকে দুই হাজার ৩৫০ টাকা, আগে এই চালের বস্তা ছিল দুই হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার ৫৫০ টাকা, তিনি বলেন, চিকন চাল মিনিকেট ও নাজিরশাইলের দাম তেমন কমেনি, সামনে এগুলোও কমে আসবে, মিনিকেট বস্তা তিন হাজার ২৫০ থেকে তিন হাজার ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার ৫০০ থেকে তিন হাজার ৫৫০ টাকায়, বাবুবাজার চালের আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বলেন, বাজারে বর্তমানে পর্যাপ্ত চালের মজুদ আছে, সামনে চালের দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, আগের তুলনায় নতুন মোটা চাল এখন বস্তায় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কমেছে, পাশাপাশি নতুন সুগন্ধি চালের দামও বস্তায় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কমেছে।
কারওয়ান বাজারের খুচরা চাল ব্যবসায়ী ঢাকা রাইস এজেন্সির মালিক মো. সায়েম বলেন, বাজারে নতুন চাল আসায় এখন মোটা চালের দাম অনেকটাই কমেছে, ব্রি-২৮ চাল আগে কেজি ৬০ থেকে ৬২ টাকায় বিক্রি করেছি, এখন নতুন ব্রি-২৮ চাল বিক্রি করছি ৫৭ থেকে ৫৮ টাকায়, মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৭২ থেকে ৭৬ টাকায়, নাশিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।