‘স্বাধীনতাহীনতায় কে বাঁচিতে চায়’... অথবা ‘মুক্তির মন্দির সোপান তলে কত প্রাণ হলো বলিদান’ গান দুটির সঙ্গে সচেতন ব্যক্তিরা কমবেশি পরিচিত। আমরা সেই শৈশব থেকে শুনে আসছি। তবে এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য ভালো বুঝিনি। নানা সংঘাতে আজও বুঝি না।
স্বাধীনতা এবং মুক্তি মনুষ্যত্ব বিকাশের এপিঠ-ওপিঠ। একটিকে বাদ দিলে অন্যটি পূর্ণ কার্যকর নয়। অথচ আমরা যুগের পর যুগ ধরে দিবসটি উদযাপন করে আসছি মহাসমারোহে। দিনটিকে সামনে রেখে আমরা আনন্দ-বিলাস কম করি না। স্বাধীনতা ও মুক্তির সঙ্গে যুদ্ধের সংশ্লিষ্টতা অবশ্যই আমাদের চেতনাকে আড়ষ্ট করে। তাহলে কী ভাবব আমরা। মুক্তির সঙ্গে যুদ্ধ অভিধাটি যেন বিশিষ্ট থাকে। কথাটি সাধু; কিন্তু জগতের সমাজ বিবর্তনের ইতিহাসের যুদ্ধকে কি অস্বীকার করে!