শহীদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন বাংলাদেশের আত্মা

বাংলা ট্রিবিউন আবদুল মান্নান প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:০০

প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসের ১৪ তারিখ একাত্তর সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর জামায়াত, আল-বদর ও রাজাকারদের দ্বারা হত্যা করা বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালন করা হয়। এই বছর দিবসটি স্বাধীন বাংলাদেশে ৫১তম বার পালন করা হচ্ছে। একাত্তরে ঘাতকদের হাতে যত বুদ্ধিজীবী নিহত হয়েছেন, তাদের অত্যাচারে পঙ্গু হয়েছেন, তাঁদের সবার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। যদিও একটি দিনকে একাত্তরে নিহত বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে; বাস্তবে বছরের প্রতিটি দিনই যেমন গণহত্যা দিবস, ঠিক একইভাবে প্রতিটি দিনই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। কারণ, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে বাংলাদেশে গণহত্যার শুরু থেকেই বুদ্ধিজীবী নিধন শুরু হয়েছিল, যা পুরো ৯ মাস চলেছে।


১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কোনও হঠাৎ চিন্তার ফসল নয়। এর পেছনে আছে দীর্ঘদিনের চিন্তা ও প্রস্তুতি। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান নামের বিকলাঙ্গ রাষ্ট্রটি যখন প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন শিক্ষা-দীক্ষা ও সংস্কৃতি সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল পূর্ব বাংলার বাঙালিরা, যাদের মধ্যে সব সম্প্রদায়ের মানুষ ছিল। মুসলিম লীগ নেতারা যে ইকবালকে পাকিস্তানের স্বপ্নদ্রষ্টা বলে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন, সেই ইকবালের স্বপ্নের পাকিস্তানে কখনও বাংলার অস্তিত্ব ছিল না। আসলে ইকবাল কখনও পাকিস্তান চাননি। তিনি ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে ভারতের অবহেলিত মুসলমানদের জন্য বিশেষ সুবিধা সংবলিত এক সংরক্ষিত অঞ্চল চেয়েছিলেন।


১৯৫৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর ইন্ধনে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে কাদিয়ানিবিরোধী এক দাঙ্গা হয়। তখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খাজা নাজিমউদ্দিন। দাঙ্গা প্রশমিত করতে পাঞ্জাবে সামরিক আইন জারি করে জেনারেল আজম খানকে (পরবর্তীকালে পূর্ব বাংলার জনপ্রিয় গভর্নর) প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। ঘটনা তদন্ত করতে সরকার বিচারপতি মোহাম্মদ মুনিরকে (পরে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি) দিয়ে একটি দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। অন্য সদস্য ছিলেন বিচারপতি মোহাম্মদ রুস্তম কায়ানি (পরে পশ্চিম পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি)।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us