খালেদা জিয়ার নির্দেশে চললে দেশে কি পরিবর্তন আসবে?

বিডি নিউজ ২৪ বিভুরঞ্জন সরকার প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২২, ২১:৪২

বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে দু-তিন সপ্তাহ ধরে দেশের রাজনীতিতে যে গরম হাওয়া বইতে শুরু করেছিল, তাতে এখন শীতের আমেজ। ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার জেদ বহাল রাখতে পারেনি বিএনপি। তবে গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার আগে ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে মকবুল হোসেন নামের একজন সাধারণ মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকে পুলিশ অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। এমনকি গভীর রাতে নিজ নিজ বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে। নয়াপল্টনে সমাবেশ করার জন্য বিএনপি কেন জেদ ধরে ছিল এবং সরকার পক্ষই বা কেন বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিতে চেয়েছিল, সে রহস্য আর হয়তো ভেদ হবে না। 


এটা ঠিক, ঢাকা শহরে বড় সমাবেশ করার মতো উন্মুক্ত স্থান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়া আর নেই। বিএনপি বড় সমাবেশ করতে চেয়ে কেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেতে চায়নি, তার সন্তোষজনক ব্যাখ্যা বিএনপির পক্ষ থেকে পাওয়া যায়নি। আবার জন-চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে জনসভা বা সমাবেশ করা অনুচিত হলেও এই অনুচিত কাজটি দেশে এর আগে বহুবার হয়েছে। এমনকি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও করেছে। তাহলে এবার কেন সরকার এতটা অনড় থাকল নয়াপল্টনের ব্যাপারে? হয়তো নয়াপল্টন ঘিরে বিএনপির কোনো গোপন পরিকল্পনা ছিল। তাই তারা নয়াপল্টন ছাড়তে চায়নি। বিএনপি হয়তো কয়েক ঘণ্টার সমাবেশকে কয়েকদিনের সমাবেশে পরিণত করে সরকারের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করার পরিকল্পনা করেছিল। ১০ ডিসেম্বর ঘিরে বিএনপির যে বড় কোনো পরিকল্পনা ছিল সেটা দলের কয়েকজন নেতার বক্তব্য থেকেও বোঝা গেছে। খালেদা জিয়ার নির্দেশে দেশ চলবে, তারেক রহমান দেশে ফিরবেন, খালেদা জিয়া সমাবেশে যোগ দেবেন– এসব হুমকি দিয়ে সরকারের মাথায় চাপ বাড়িয়ে দিয়ে বিএনপির কতটুকু লাভ বা ক্ষতি হলো, সে আলোচনায় এখনই না গিয়ে এটুকু বলা যায় যে, বিএনপি ও সরকার তথা আওয়ামী লীগ মুখোমুখি হয়ে শক্তি পরীক্ষায় নেমে গোলশূন্য ড্র করেছে। 


আওয়ামী লীগ সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই বলে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য যেমন হাস্যকর, তেমনি বিএনপিকে একেবারে দুর্বল ভেবে আওয়ামী লীগও ঠিক করছে না। বিএনপির পেছনেও জনসমর্থন আছে। তবে মাঠে খেলা গড়ালেও জয়-পরাজয় নির্ধারণের জন্য আরও অনেক ম্যাচ খেলতে হবে। ততদিনে বিএনপি দম রাখতে পারবে কিনা, দেখার বিষয় সেটাই। বিএনপি দীর্ঘবছর ধরে ক্ষমতার বাইরে আছে। আর আওয়ামী লীগ টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আছে। প্রশাসনে এখন আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণ একচ্ছত্র। সরকারের পক্ষে দল যেমন আছে, তেমনি আছে প্রশাসনযন্ত্র। বিএনপি নিজেদের শক্তির উৎস-উপকরণ সম্পর্কে যথার্থ ধারণা নিয়ে মাঠে নেমেছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। তবে সরকারের পদত্যাগ কিংবা দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি আদায়ের মতো শক্তির ঘাটতি যে বিএনপির আছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। বিএনপির ৭ জন সদস্য সংসদ থেকে পদত্যাগ করায় সরকারের ওপর নতুন কোনো চাপ তৈরি হবে বলে মনে হয় না। বরং বিএনপির মধ্যে ভাঙন ধরানোর সুযোগ এর ফলে আরও বাড়ল বলে মনে হয়। সরকার চাইলে বিএনপির সুযোগ সন্ধানীদের সুযোগ করে দিতে পারে। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us