মুক্তিযুদ্ধ কোনো মুখস্থবিদ্যা নয়

আজকের পত্রিকা জাহীদ রেজা নূর প্রকাশিত: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১৭:১৭

আমাদের মুক্তিযুদ্ধটা কোনো মুখস্থবিদ্যানির্ভর ছিল না। একটি ধারাবাহিক আন্দোলনের মাধ্যমেই মানুষ পৌঁছেছিল স্বাধিকারের দাবিতে। বাংলার মানুষ কিন্তু পাকিস্তান কায়েমের জন্য জীবন উজাড় করে দিয়েছিল। সেই বাংলার মানুষই পাকিস্তান কায়েমের কিছুদিনের মধ্যেই বুঝতে পেরেছিল, যে পথে চলেছে দেশ, তা ঔপনিবেশিক শাসনেরই পথ। শুধু শাসক বদল হয়েছে। ব্রিটিশদের জায়গায়, শোষকের জায়গায় এসেছে পশ্চিম পাকিস্তানি মুসলমানরা।


ইতিহাস এগিয়েছে এই দ্বন্দ্ব-সংঘাতের মধ্য দিয়ে। নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিকে কঠোর হাতে দমন করা শুরু করেছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী এবং জন্মের এক দশকের মধ্যেই দেশে নিয়ে এসেছিল সামরিক শাসন। আইয়ুব খান হয়ে উঠেছিলেন সর্বেসর্বা। প্রবীণ রাজনীতিবিদদের রাজনীতির পথ সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছিলেন মামলা-হামলার ভয় দেখিয়ে। কীভাবে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন হলো, কীভাবে ছাত্র-জনতা জীবনকে বাজি রেখে আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে গেল, সে ইতিহাস বারবার বর্ণিত হয়েছে। ইতিহাস-সচেতন মানুষ সে কথা জানে।


এই ‘জানে’ শব্দটির সঙ্গেই আজ বোঝাপড়া হবে। কয়েকটি সাল এবং কয়েকটি নাম মুখস্থ করে রাখলেই কি মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করা যায়? তারই ভিত্তিতে কি নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলে প্রমাণ করা যায়? স্বাধীনতার অর্ধযুগ পার হয়ে যাওয়ার পরও ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি’ এবং ‘মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি’ কেন থাকবে একটা দেশে? এ রকম আর কোনো দেশের নাম কি মনে পড়বে, যে দেশে ‘মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি’ অর্থাৎ দেশবিরোধী কোনো শক্তি আছে? এ প্রশ্নটি খুব জরুরি আজকের পরিপ্রেক্ষিতে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us