ইউক্রেনে নৃশংসতায় রুশ সেনা ও মস্কোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে একটি আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। কিয়েভের জোরালো আবেদনের পর ইউরোপীয় কমিশনও একই প্রস্তাব করেছে। আলোচনা হচ্ছে নানা ফোরামে, যা পশ্চিমা শীর্ষ নেতাদের সমর্থনের প্রকাশ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে জাতিসংঘ সমর্থিত এ ধরনের কোনো ট্রাইব্যুনাল গঠনে বেশ কিছু পদ্ধতিগত বাধা পেরোতে হয়। এতে বিশ্বনেতাদের সমর্থন আদায়ও জরুরি। সেই সমর্থন আদায়ে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।
কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডার লেইন গতকাল বুধবার বলেছেন, রাশিয়ার আগ্রাসনের অপরাধের তদন্ত ও বিচারের জন্য তাঁরা বিশেষ আদালতের জন্য বিশ্বসম্প্রদায়ের সমর্থন পেতে দ্রুতই কাজ শুরু করতে চান। এর আগে গত মঙ্গলবার নিয়মিত ভাষণে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। একই দিন জার্মানির বার্লিনে ইউরোপীয় সাত দেশের বিচারমন্ত্রীরা যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেছেন। ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি ব্রিটিশ আইনপ্রণেতাদের কাছে আবেদনটি করেন।
তদন্তকারীরা যুদ্ধের শুরু থেকেই রাশিয়ার সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ সংগ্রহে রেখেছেন। এর মধ্যে গত মার্চে কিয়েভ শহরের পার্শ্ববর্তী বুচা এলাকায় বেসামরিক লোকদের হত্যাকাণ্ড রয়েছে। সম্প্রতি ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চল থেকে রুশ বাহিনী পিছু হটার পর একাধিক গণকবর ও নির্যাতন কেন্দ্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। যদিও, রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ক্রেমলিন। সম্প্রতি আত্মসমর্পণের পর বেশ কয়েকজন রুশ সেনার মৃত্যুকে ঘিরে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধেও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলেছে মস্কো। ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়ে বিচার শুরু হলে, তা শেষ হতে লেগে যেতে পারে কয়েক বছর।