ভোটের দিনের নয়, চাই প্রতিদিনের গণতন্ত্র

সমকাল মোশতাক আহমেদ প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২২, ১২:৩৯

নির্বাচন এলেই গণতন্ত্র নিয়ে আলোচনায় সরগরম হয়ে ওঠে চারদিক- গ্রামের হাটের চায়ের দোকান থেকে টেলিভিশনের 'টকশো'; সর্বত্র। কি সরকারি দল কি বিরোধী; সবাই তখন গণতন্ত্রের জন্য 'যায় যদি যাক প্রাণ' পণ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে রাজপথে; যারা ক্ষমতায় থাকে, তারা গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আর যারা ক্ষমতার বাইরে থাকে, তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য। তবে সবারই লক্ষ্য থাকে 'নির্বাচন'। যেন নির্বাচনের বৈতরণী পার হওয়াই গণতন্ত্রের একমাত্র উদ্দেশ্য।


এটি যে শুধু সাম্প্রতিক সময়ের বিষয়, এমন কিন্তু নয়। সেই স্বাধীনতার ঊষালগ্ন থেকেই, বলা চলে তারও আগে, পাকিস্তান আমল থেকেই এমনটি চলে আসছে। যদিও পাকিস্তান আমলের প্রেক্ষিত ছিল ভিন্ন। একদিকে বাঙালি জাতিসত্তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া দেড় হাজার মাইল দূরের এক বিজাতীয় গোষ্ঠীর নব্য উপনিবেশবাদী আধিপত্য; অন্যদিকে তাদেরই প্রতিভূ সামরিক স্বৈরশাসন। স্বাভাবিকভাবেই তখনকার সংগ্রামে বাঙালি জাতীয়তাবাদ আর ভৌগোলিক স্বাধিকারের প্রশ্নটিই হয়ে উঠেছিল মুখ্য। গণতন্ত্রের ভাবাদর্শগত ভিত্তি বা চেতনা নিয়ে বেশি গভীরে যাওয়ার তেমন প্রয়োজন বোধ করেনি এ দেশের মানুষ। ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচনকেই তারা দেখেছে গণতন্ত্র হিসেবে। কিন্তু স্বাধীনতার ৫১ বছর পরও এ বিষয়ে পাকিস্তানি ধারণা থেকে উত্তরণের কোনো প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যায়নি।


স্বাধীনতার প্রত্যুষলগ্নে প্রত্যাশা ছিল, লাখো শহীদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশে গণতন্ত্রই হবে মূল চালিকাশক্তি এবং সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনার ভিত্তি। কিন্তু সেটি হয়ে ওঠেনি বা হয়ে উঠতে দেওয়া হয়নি। এই তো কয়েক দিন আগেই (৪ নভেম্বর) আমাদের সংবিধান দিবস পালিত হলো। অনেকেই অনেক আলোচনা করলেন। অথচ সংবিধানে বিধৃত চার মূলনীতির প্রথমটিই যে গণতন্ত্র; তা নিয়ে তেমন আলোচনা চোখে পড়েনি। পড়েনি কারণ এখনও এ দেশের মানুষ গণতন্ত্র বলতে নির্বাচনকেই বোঝে। বোঝে প্রতিনিধি বাছাইয়ের একটি প্রক্রিয়া হিসেবে। তাই তো নির্বাচন এলে তা সে জাতীয় নির্বাচনই হোক আর স্থানীয় সরকার; গণতন্ত্রের জন্য মায়াকান্না আর 'মারমার কাটকাট' শুরু হয়ে যায়। বাস্তবতা হলো, মুখে যতই গণতন্ত্রের কথা বলি না কেন; প্রকৃত অর্থে আমরা গণতন্ত্রকে ভয় পাই। কারণ গণতন্ত্র গণমানুষ তথা সাধারণ মানুষের কথা বলে। বলে জবাবদিহির কথা। সমস্যা হলো এই জবাবদিহি নিয়েই। কারণ জবাবদিহি নিশ্চিত হলে সমাজে, সরকারে চুরিচামারি, লুটপাট চলতে পারবে না। এসব যদি না চলে তাহলে সুবিধাবাদী বুর্জোয়ারা চলবেই বা কেমন করে!

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us