ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ পর্যন্ত ঠিক কতজন মারা গেছে, তা পরিষ্কার নয়। তবে গতকাল মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৮।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামের এক পোস্টে জাভার আঞ্চলিক গভর্নর রিদওয়ান কামিল বলেছেন, এখন পর্যন্ত ২৬৮ জন মারা গেছে। তাদের বেশির ভাগই শিশু।
সোমবার ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় সময় দুপুরে পশ্চিম জাভার সিয়াঞ্জুর শহরে এই ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছে। এতে হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের তথ্য অনুযায়ী এই ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। সিয়াঞ্জুর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরের রাজধানী শহর জাকার্তায়ও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শত শত আহত মানুষকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকে পড়া মানুষের বাঁচানোর জন্য উদ্ধারকারীরা কাজ করে চলেছেন। যে এলাকায় ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে, সেই এলাকা ঘনবসতিপূর্ণ এবং ভূমিধসের প্রবণতা রয়েছে। অনেক এলাকায় দুর্বলভাবে নির্মিত ঘরগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
ভূমিকম্পে প্রাণহানির ঘটনায় শোক জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকা উইদোদো। মঙ্গলবার তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের সরিয়ে নেওয়াকে অগ্রাধিকার দেওয়াটাই আমার নির্দেশ।’ জরুরি সরকারি সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যৎ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সুরক্ষায় অবকাঠামো পুনর্নির্মাণে ভূমিকম্প সহনীয় ঘরবাড়ি তৈরির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।