শীতে ত্বকের শুষ্কতা অনেকটাই বেড়ে যায়, কীভাবে দূর করবেন জানিয়েছেন রূপ বিশেষজ্ঞ খালেদা পারভীন
স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য পানি গুরুত্বপূর্ণ। শীত এলেই ত্বকের শুষ্কতা বাড়ে। শীতের সময় এমনিতেই কম পানি পান করা হয়। ফলে পানির অভাবে ডিহাইড্রেশনের হয়। ডিহাইড্রেটেড ত্বকে স্বাভাবিক শুষ্কতার সঙ্গে কালচে, ব্রণ ও র্যাশ দেখা দেয়। এছাড়া শুষ্ক ত্বকে প্রাকৃতিক তেলের অভাবও দেখা দেয়। ত্বক শুষ্ক হওয়ার অনেকগুলো কারণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পরিবেশ, ঘুমের অভাব, কম পানি পান, ক্যাফেইন এবং প্রতিদিনকার যতেœর অভাব। ত্বক যত শুষ্ক হবে ততই ত্বকের নিস্তেজতা, অমসৃণ, সংবেদনশীলতা কমে যাবে এবং লালচে ভাব দেখা দেবে। এ ছাড়া সূক্ষ্ম রেখা এবং বলিরেখা হয়।
শুষ্ক ত্বকের যত্ন
শুষ্ক ত্বক পরিষ্কার করার জন্য মৃদু ক্লিনজার এবং হালকা গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। খুব বেশি কেমিক্যাল ও কৃত্রিম সুগন্ধিযুক্ত ক্লিনজার ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এই ধরনের ক্লিনজার ত্বক বার্ন করে এবং আরও পানিশূন্য করে দেয়। ত্বক যদি ডিহাইড্রেটেড থাকে, তাহলে টোনার ব্যবহার করা দৈনন্দিন স্কিনকেয়ার রুটিনের অপরিহার্য উপাদান। যদি আপনার ত্বক ডিহাইড্রেটেড হয় তবে ওয়াটার বেইজড টোনার ত্বকে ভালো কাজ করবে। এটা ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় এবং ত্বক সতেজ করবে। সকালে এবং রাতে মুখ ক্লিনজার দিয়ে পরিষ্কার করার পর ময়েশ্চারাইজিং সিরাম দিতে হবে। ত্বক হাইড্রেড করে এমন সিরামগুলোতে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড এবং গ্লিসারিন থাকে। তাই ময়েশ্চারাইজার কেনার সময় এই দুটি উপাদান আছে কিনা দেখে নিতে হবে।