১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরকে বাংলাদেশের ইতিহাসে ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ বলে আখ্যায়িত করা হয়। এদিন জিয়াউর রহমানের সঙ্গীরা খালেদ মোশাররফসহ আরও অনেককে হত্যা করেছিল। অথচ দেশপ্রেমিক খালেদ মোশাররফ বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িতদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। সেদিন জিয়াউর রহমান গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি পেয়ে আর যা করেছিলেন তা এদেশকে নয়া পাকিস্তানে পরিণত করেছিল।
বিশেষত বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর খুনি মোশতাক ও জিয়ার নেতৃত্বে জাতীয় চার নেতাকে জেলের ভেতর হত্যা এবং ১৯৮১ সাল অবধি কয়েক হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে বিচারের নামে প্রহসন করে নিষ্ঠুরভাবে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে কিংবা গুলি ও গুম করে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের ইতিহাসকে করা হয় কলঙ্কিত। সেদিনকার সিপাহীদের চেহারা ও আচরণ নিয়ে কর্নেল শাফায়াত জামিল রচিত ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, রক্তাক্ত মধ্য-আগস্ট ও ষড়যন্ত্রময় নভেম্বর’ শীর্ষক বইতে লেখা হয়েছে- ‘সিপাহী বিদ্রোহে অংশ নেওয়া সিপাহীরা ছিল পাকিস্তান প্রত্যাগত এবং তারা কেউই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী কোনো ব্যাটালিয়নে ছিল না। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে ষড়যন্ত্র এবং জঘন্য হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার জন্যই বিশেষ মহল ৭ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল। আর বিশেষ মহলের নেপথ্যে কারা ছিল তা জাতির নিকট অত্যন্ত স্পষ্ট।’