অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ব্যয় সংকোচনের জন্য কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প স্থগিত রাখাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। আগামী বছর দুর্ভিক্ষ আসতে পারে—এমন কথাও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।
এ রকম পরিস্থিতির মধ্যেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহারের জন্য দুই লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কিনতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। অথচ আগামী সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে কাগজের ব্যালটে ভোট গ্রহণ করা হলে এত টাকা খরচ করার কোনো প্রয়োজনই হতো না।
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বরাদ্দ ছিল ৭০০ কোটি টাকা। এবার যদি দ্বিগুণও ব্যয় করা হতো, তাহলেও ভোটের মোট ব্যয় দেড় হাজার কোটি টাকার নিচে থাকত। কিন্তু ইভিএমের কারণে গত নির্বাচনের চেয়ে এবার প্রায় ১৪ গুণ টাকা বেশি খরচ হবে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫০টিতে ইভিএমে ভোট নেওয়া হবে। ফলে আগামী নির্বাচনে ইভিএম প্রকল্পের ব্যয়ের সঙ্গে ১৫০ আসনে ব্যালটে ভোট নেওয়ার খরচও যোগ হবে। এর সঙ্গে যুক্ত হবে নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং নির্বাচন পরিচালনা খাতের খরচও। এতে আরও ৮০০ থেকে ১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে ধারণা করছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা। সব মিলিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য ব্যয় হবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।