‘আমার একটা চায়ের দোকান ছিল। ২০১৭ সালে ক্যাম্প তৈরির পরে আমার বাড়ি ও দোকান ক্যাম্পের মধ্যে পড়ে যায়। এই দোকানে আর বাইরের লোক আসতে পারে না। রোহিঙ্গারা তাদের নিজেদের মধ্যে থাকতে পছন্দ করে। দিনের পর দিন কাস্টমার না পেয়ে দোকান বন্ধ করে রোহিঙ্গাদের ভাড়া দিয়ে দিই। এখন ওটা ওরাই চালায়। ক্রেতার অভাব নেই, কিন্তু আমার চলে কী দিয়া?’
আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন কক্সবাজারের উখিয়ার লম্বাশিয়া এলাকার এক স্থানীয়। লম্বাশিয়া ক্যাম্প এলাকায় কথা হয় ‘হোস্ট কমিউনিটির‘ আরও কয়েকজনের সঙ্গে। এখানে বেশকিছু বাসিন্দার ঘর পড়ে গেছে ক্যাম্পের মধ্যে। তাদের অভিযোগ, ‘কোথাও যেতে হলে ক্যাম্পের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। বাইরে যে নিরাপত্তা চৌকি আছে, তাদের কাছে প্রতিবারই প্রমাণ দাখিল করতে হয় যে তারা রোহিঙ্গা নন। নিজের ঘরে পরবাসী কতদিন?’