কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে গোলাগুলি, অপহরণ, হত্যা-ধর্ষণ নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব অপরাধের পেছনে অন্যতম কারণ মাদক ব্যবসা ও ক্যাম্পে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হলেও সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডগুলোয় একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য চোখে পড়েছে। আর তা হলো যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগই রোহিঙ্গা নেতা বা মাঝি ছিলেন। তাঁরা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করছিলেন। এসব হত্যাকাণ্ডে অভিযোগের তির মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) দিকে।
টেকনাফ ও উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দাদের অনেকেই মনে করেন, প্রত্যাবাসন নিয়ে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের টার্গেট করে হত্যা করা হচ্ছে। এ ছাড়া বেকারত্ব, মাদক পাচার ও ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব তো আছেই।
জানা গেছে, উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরগুলোয় চলতি মাসেই সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হয়েছেন এক শিশুসহ সাতজন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ভোরে ১৭ নম্বর শিবিরে এক রোহিঙ্গা মাঝির ভাই আয়াত উল্লাহ এবং স্বেচ্ছাসেবক ইয়াসিনকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। আরসা এসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা। তাঁরা জানান, নিহত আয়াত উল্লাহর ভাই ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের সি ব্লকের মাঝি সালামাত উল্লাহর সঙ্গে আরসার বিরোধ ছিল। এ জন্য তারা আয়াত উল্লাহকে খুন করে।