আস্থাশীল গণতান্ত্রিক কাঠামোর বিকল্প নেই

কালের কণ্ঠ একেএম শাহনাওয়াজ প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০২২, ১৪:১১

আমার এক সহকর্মী গল্প করছিলেন। সাত ভাই-বোন তাঁরা। তিনি শেষ দিকের সন্তান। ছোটবেলা থেকে দেখেছেন ছোটখাটো জিনিস নিয়ে মা-বাবার মধ্যে মাঝেমধ্যে ঝগড়া হতো। তখন মা-বাবা প্রত্যেকেই চাইতেন ছেলেমেয়েরা তাঁকেই সমর্থন করুক। সমর্থন করলে ভালো, না করলে মন খারাপ। এমন অবস্থায় ছেলেমেয়েরাও বিপদে পড়ে। আমরা যাঁরা কলাম লিখি তাঁদের বিপদও এমনই। সরকারি দল-বিরোধী দল সব পক্ষের নেতাকর্মীরা আশা করেন তাঁদের প্রশংসা করা হোক। যাঁরা নিজেদের দলীয় পরিচয় লেখার মধ্য দিয়ে স্পষ্ট করেছেন, তাঁদের অসুবিধা নেই। সমস্যা আমাদের মতো মানুষের, যাঁরা নিরপেক্ষ জায়গা থেকে লিখতে চাই। এখানে দুই পক্ষই চায় লেখাটা তাদের পক্ষে যাক। তেমনি দলান্ধ কর্মী-সমর্থকরাও। কোনো লেখা যদি বিএনপির বিরুদ্ধে যায়, তাহলে জানি মেইলে দু-চারটে বকাঝকা পাব। ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ ইত্যাদি অভিধা তো থাকবেই। আবার উল্টোটাও ঘটে, আওয়ামী লীগের বা আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে লেখা প্রকাশিত হলে শুধু বিএনপি নয়, জামায়াত-বিএনপির দালাল হয়ে যাই মুহূর্তেই।


এসব থেকে বুঝতে পারি দেশে রাজনৈতিক সহনশীলতা নেই। প্রকৃত গণতান্ত্রিক পথে আমরা হাঁটতে পারছি না। আমরা যে সাধারণ মানুষের ‘চোখ’ ও ‘মন’ হিসেবে কাজ করি, তা দলগুলোকেই যে উপকার করে এমনটি বোঝার এবং মানার দায় ও প্রয়োজন কোনো পক্ষের রাজনৈতিক নেতাদেরই নেই। বাংলার ইতিহাসের কয়েকটি ঘটনার সঙ্গে এ অবস্থার তুলনা করা যায়। আট শতক থেকে এগারো শতকের মধ্যে পাল রাজাদের শাসন ছিল বাংলায়। পালরা ছিল বাঙালি। বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী। তারা সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল। ভিন্ন ধর্মের মানুষের অধিকার রক্ষা করেছিল। পালদের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেয় দক্ষিণ ভারত থেকে আসা সেন বংশের ব্রাহ্মণ শাসকরা। তাঁরাও একটি উদার শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারতেন। কিন্তু অন্যায়ভাবে ক্ষমতা দখল তাঁদের হীনম্মন্য করে তোলে। তাঁরা আশঙ্কা করতে থাকেন সাধারণ মানুষ তাঁদের শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারে। তাই দমন-পীড়ন করে মানুষকে কোণঠাসা করে তোলেন। এ কারণে বহিরাগত মুসলমান শাসকরা যখন সেন রাজত্বে আক্রমণ চালান তখন স্বধর্মীয় শাসকদের পক্ষে দাঁড়ায়নি সাধারণ মানুষ। সহজেই তাই সেন শাসনের অবসান ঘটিয়ে মুসলমান সুলতানদের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলায়। সুলতানরা উদার শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। তাই দেশের মানুষ সুলতানদের ওপর সন্তুষ্ট ছিল। বহিরাগত সুলতানরা সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পেরে ধর্ম-নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে পৌঁছতে পেরেছিলেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us