নির্বাচনী হাওয়ায় সরল ভাবনা

দেশ রূপান্তর একেএম শাহনাওয়াজ প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২২, ০৯:৪৩

নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এটিই সংগত। হাওয়ার দাপট বিএনপির ঘরেই বেশি। অনেকদিন কোণঠাসা অবস্থায় ছিল বিএনপি। এখন তো ঘুরে দাঁড়াতেই হবে। দলটির সামনে চ্যালেঞ্জও কম নয়। সংকট সময়ে যেখানে শক্ত নেতৃত্ব দরকার তখন প্রধান নেতানেত্রী চিহ্নিত করা যাচ্ছে না এই দলটিতে। বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ। বিএনপি নেতারা যেভাবে বিদেশে চিকিৎসার জন্য চাপ দিচ্ছেন তাতে মনে হচ্ছে না দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা তার রয়েছে। তারপরের নেতা তারেক রহমান। তিনি লন্ডন প্রবাসী। আইনের ভাষায় পলাতক আসামি। তার নেতৃত্ব নিয়ে শুনি দলের মধ্যে মত-দ্বিমত রয়েছে। প্রচারণা রয়েছে তার সঙ্গে জামায়েতে ইসলামীর সখ্য বেশি। বলা হয় জামায়েতের ফর্মুলায় যত উগ্রবাদী সিদ্ধান্ত তার মধ্য দিয়ে কার্যকর করার চেষ্টা করেছে বিএনপি। এখন অনেক বিএনপি নেতাও মনে করেন এসব ছিল বিএনপির রাজনৈতিক ভুল।


ক্ষমতায় থাকা দল কিছু কিছু ভুল করে। সেসব বিরোধী দলের রাজনীতিকরা লুফে নেন। উন্নয়নের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখাতে পারলেও তাদের ভুলও কিছু কম নয়। ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে খুব খারাপ নজির স্থাপন করেছে। দুর্নীতি কমাতে পারেনি সরকার। এরমধ্যে যুক্ত হয়েছে বৈশি্বক সংকট। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার কষ্টের দায় কোনো না কোনোভাবে সরকারের ওপরই বর্তায়। আর এসব দুর্বলতাকে ইস্যু হিসেবে নিয়ে বিএনপির পক্ষে নির্বাচনী মাঠ উত্তপ্ত করার কথা। দুই একটি জনসভায় লোকসমাগম করতে পেরে বিএনপি নেতারাও যেন আত্মতৃপ্তিতে ভুগছেন। জনসমাগমের পেছনের কারণটা সবারই জানা। আওয়ামী লীগ তাদের শক্তি ও কৌশল ব্যবহার করে নিশ্চয়ই আরও বিপুল জনসমাগম করতে পারবে। দুপক্ষের জনসভায় একটি অংশে অভিন্ন মানুষই পাব। বিএনপির ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য বেশি দরকার ছিল জনগণের কাছে যাওয়া। অতীতে ক্ষমতায় থেকে বিএনপি নেতাদের দুর্নীতির খতিয়ানও কিছুমাত্র কম ছিল না। ভোট ডাকাতি ও ভুয়া ভোটার তালিকা তৈরির অভিযোগও বিএনপির ওপর ছিল। আমাদের সব পক্ষের নেতাদের বুঝতে হবে এখন অ্যানালগ ধারায় অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের রাজনীতি করে জনগণকে প্রভাবিত করা যাবে না। যারা দলনিষ্ঠ মানুষ তারা যুক্তি ও বিবেক দিয়ে কিছু দেখবে না কিন্তু তাদের সমর্থনই শেষ কথা নয়। সাধারণ ভোটার কিন্তু নানা ঘাত-প্রতিঘাতে জর্জরিত হয়ে এখন মূল্যায়ন করতে শিখেছে। তাই জনগণের আস্থা নিয়েই এগুতে হবে।


নিকট অতীতে দৃষ্টি ফেরালে কি অনেক কিছু স্পষ্ট হয় না? রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়া এবং থাকার জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বরাবরই প্রতিদ্বন্দ্বী। ২০০৮-এ সাধারণ মানুষের হিসাব মিললেও নির্বাচনে ভূমিধস পরাজয় বিএনপির মেনে নেওয়া কঠিন ছিল। তারপরেও বাস্তবতা মেনে বিএনপির যেভাবে দল গুছানো ও নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করা উচিত ছিল সে পথে খুব একটা হাঁটেনি। কিন্তু সবচেয়ে বেশি ভুলপথ পরিক্রমণ করেছিল তখন আওয়ামী লীগ। অভাবনীয় বিশাল বিজয়ে যতটা আত্মপ্রসাদ লাভ করেছিল তার সিকি পরিমাণ বিজয়ের কারণ মূল্যায়ন করে দেখেনি। আওয়ামী লীগের বিশ্বাস করা উচিত ছিল বিএনপির প্রতি মুখ ঘুরিয়ে একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোটার বিকল্প না থাকায় আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছিল। মহাজোটের নির্বাচনী ইশতেহারে চমকের ফুলঝুরি ছিল। যা আকৃষ্ট করতে পেরেছিল ভোটারকে। যদিও আমাদের ক্ষমতার রাজনীতিকদের আচরণ মানুষের অজানা নয়। তবুও নিরুপায় মানুষের লোভ হয় আশাবাদী হতে। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় রাজনীতি ও রাজনৈতিক দুর্নীতিবাজদের ওপর যে ঝড় বয়ে গিয়েছিল তাতে রাজনীতিবিদরা এবার শুদ্ধ হবেন। শুদ্ধ ধারার রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তুলবেন। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী লীগ প্রবল জনসমর্থনের শক্তিতে রাজনীতিকে পরিশুদ্ধের পথে নিয়ে যাবে। মহাজোটের ‘দিন বদলে’র সে্লাগানটিকে তাই মানুষ বিশ্বাস করেছিল। এমন প্রবল জনসমর্থনের শক্তিকে সে-সময় তেমন মূল্য দেননি আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব। উপরন্তু বিশাল সমর্থন পেয়ে যেন আত্ম অহংকার বেড়ে গিয়েছিল। কল্পতরুর মগডালে উঠে গিয়েছিলেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us