শরীরে উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল হৃদরোগের অন্যতম কারণ। খারাপ কোলেস্টেরল ধমনীতে প্লেক তৈরি করে। কোলেস্টেরল একটি মোমযুক্ত পদার্থ, যা শরীরের সুস্থ কোষ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় এক উপাদান। তবে যখন রক্তনালিতে অতিরিক্ত খারাপ কোলেস্টেরল বা চর্বি জমা হয়, তখন এটি ধমনীগুলো বন্ধ করে দেয়। তখন ধমনী দিয়ে রক্ত প্রবাহ কঠিন হয়ে যায়।
যখন কোলেস্টেরল জমা হতে হতে বড় আকার ধারণ করে তখনই ঘটে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো ঘটনা। বংশে কোনো উচ্চ কোলেস্টেরলের রোগী থাকলে অন্যদের মধ্যেও এ সময় পরে দেখা দিতে পারে। এর ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তোলে অস্বাস্থ্যকর খাবার, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা, অতিরিক্ত ওজনসহ অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণ করা। সবচেয়ে দুশ্চিন্তার বিষয় হলো, কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লেও এর কোনো গুরুতর লক্ষণ তেমন প্রকাশ পায় না। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল টের পাওয়া যায় পায়ের এক লক্ষণে। এক্ষেত্রে পায়ে ব্যথা শরীরের উচ্চ কোলেস্টেরলের লক্ষণীয় সতর্কতা সংকেত। এ ছাড়াও উরু, নিতম্ব ও হাঁটুর ব্যথাও উচ্চ কোলেস্টেরলের সঙ্গে সম্পর্কিত।