ধরুন আপনি আপনার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কম্পিউটারে গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজ করতে বসেছেন। কিন্তু বেশিরভাগ পাবলিক কম্পিউটারের মতো এটিও সেই একই দোষে দুষ্ট- নতুন কোনো প্রোগ্রাম ইনস্টলের অনুমতি নেই। অথচ কাজটি শেষ করতে আপনার একটি নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যারের প্রয়োজন। তাহলে উপায় কী?
এ ক্ষেত্রে আমাদের উপকারে আসতে পারে বহনযোগ্য সফটওয়্যার। একটি পেনড্রাইভ কিংবা ক্লাউড স্টোরেজের সুবাদে ব্যবহারকারী সহজেই এমন সফটওয়্যার সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে পারেন যেগুলো ব্যবহারের জন্য ইনস্টলেশনের কোনো প্রয়োজন নেই। চলার পথে ল্যাপটপে বসে এ সফটওয়্যারগুলো দিয়ে অনায়াসে প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সেরে ফেলা সম্ভব।
গুগল ক্রোম পোর্টেবল
যদি আপনি একটি নির্দিষ্ট ইন্টারনেট ব্রাউজারের একনিষ্ঠ গ্রাহক হয়ে থাকেন, তবে হুট করে অন্য কোনো ব্রাউজার ব্যবহার করাটা আপনার জন্য খানিকটা অস্বস্তিরই বটে। তাই বর্তমানে প্রায় সব ব্রাউজারেরই পোর্টেবল বা বহনযোগ্য সংস্করণ পাওয়া যায়। তবে গুগল ক্রোম এ ক্ষেত্রে বেশ খানিকটা এগিয়ে। কেন না, এটি গুগল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপনাকে আপনার গুগল সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত করে। ফলে আপনি যে ব্রাউজারে কাজ করে অভ্যস্ত, সেটির বুকমার্ক থেকে শুরু করে সেটিংসের যাবতীয় বিষয় 'পোর্টেবল ভার্শনে' পাচ্ছেন।
লিব্রাঅফিস পোর্টেবল
একটি জনপ্রিয় ওপেন সোর্স অফিস সফটওয়্যার। আমাদের একাডেমিক, দাপ্তরিক নানা কাজে এই সফটওয়্যারটির ব্যবহার রয়েছে। রাইটার (লেখার জন্য), ক্যাল্ক (স্প্রেডশিটস), ইমপ্রেস (প্রেজেন্টেশন), ড্র (ভেক্টর চিত্রের জন্য), বেজ (ডেটাবেজ) ইত্যাদি এই সফটওয়্যারটির গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। যা দিয়ে অফিসের মোটামুটি সব কাজই করা সম্ভব। এর বহনযোগ্য সংস্করণেও এই সুবিধাগুলো রয়েছে। অর্থাৎ, যেকোনো স্থানে বসেই আপনি অফিসের কাজ করতে পারছেন। তবে যেহেতু এই সফটওয়্যারটি বহু সেবার সমন্বয়, এটি জায়গাও খানিকটা বেশি দখল করে।
ব্লেন্ডার পোর্টেবল
ওপেন সোর্স থ্রিডি গ্রাফিক্স সফটওয়্যার হিসেবে ব্লেন্ডারের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। অ্যানিমেটেড ফিল্ম, থ্রিডি মডেল, মোশন গ্রাফিক্স, ভিজুয়াল ইফেক্টস ইত্যাদি তৈরিতে এর জুড়ি মেলা ভার। গুরুত্বপূর্ণ গ্রাফিক্সের কাজ পড়ে রয়েছে অথচ হাতের কাছে নিজের কম্পিউটার নেই, সেক্ষেত্রে কার্যকরী সমাধান হতে পারে ব্লেন্ডারের বহনযোগ্য সংস্করণ।