বার্তা ছিল ৬ বছর আগেই

যুগান্তর প্রকাশিত: ০৪ অক্টোবর ২০২২, ১২:২৮

দেশ বড় ধরনের ডলার সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে-এমন সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল ৬ বছর আগেই। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশের চলতি হিসাবে ঘাটতি দেখা দেয়। টানা ছয় বছর চলে ওই ঘাটতি। ওই ঘাটতির কারণে ডলার সংকটের আভাস অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্টরা পেয়েছিল।


কিন্তু তারা সতর্কতামূলক যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। উলটো ডলারের বিপরীতে টাকার মান বাজারে ঘনঘন হস্তক্ষেপ করে ধরে রেখেছে। একদিকে রিজার্ভ বাড়িয়েছে, অন্যদিকে বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। রিজার্ভ থেকেও ঋণ দিয়ে এর খরচ বাড়িয়েছে।


করোনার পর গত বছরের আগস্ট থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম হুহু করে বেড়ে গেলে এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর জ্বালানি তেলসহ সব পণ্যের দাম আকাশচুম্বী হলে আমদানি ব্যয় ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি কমে যেতে শুরু করে। এর প্রভাবে ডলার সংকট তীব্র আকার ধারণ করে। রিজার্ভে প্রবল চাপ পড়ে।


অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, ওই সময়ে সতর্ক হলে এবং বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ে সাশ্রয়ী এবং আয় বাড়ানোর পদক্ষেপ থাকলে এখন এত বড় সংকট হতো না। তবে এ সংকট হয়তো এখনই হতো না যদি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু না হতো। এই যুদ্ধ ডলার সংকটকে দ্রুত প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে। কিন্তু এ সংকট যে হবে, তা আগে থেকে আঁচ করা গিয়েছিল। সূত্র জানায়, সরকারের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হলে বৈদেশিক মুদ্রার চলতি হিসাবে ঘাটতি দেখা দেয়। এ ঘাটতি অব্যাহতভাবে চলতে থাকলে ডলারের সংকট প্রকট হয়। মূল্যস্ফীতির হারও বেড়ে যায়। আবার চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকলে বাড়তি ডলার রিজার্ভে জমা হয়। তখন রিজার্ভ রাড়তে থাকে। এতে ডলারের বাজারে স্বস্তি থাকে। টাকার মানজনিত কারণে মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে মানুষ স্বস্তিতে থাকে। ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার চলতি হিসাবে ঘাটতি শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ওই হিসাবে ঘাটতি চলছে। প্রতিবছরই গড়ে ঘাটতি বেড়ে যাচ্ছে। টানা ছয় বছর ঘাটতি চলছে। ওই ছয় বছর সরকারের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হয়েছে। এর বিপরীতে বৈদেশিক ঋণ নিয়ে রিজার্ভের ওপর চাপ কমিয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us