কারা বলে গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা

কালের কণ্ঠ আবদুল মান্নান প্রকাশিত: ০২ অক্টোবর ২০২২, ১৩:৩৪

রাস্তায় ও মিডিয়ায় বিএনপি ও তাদের মিত্রদের মাতম, দৌড়ঝাঁপ, আহাজারি, লাঠির মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে মিছিল-সমাবেশ করা দেখে বোঝা যায় একটি জাতীয় নির্বাচন আসন্ন। বাংলাদেশে নির্বাচন বিষয়টিই একটি আনন্দ উৎসবের মতো। এমনকি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনেও যে উৎসবের আমেজ দেখা যায়, তা অনেকটা নজিরবিহীন। আর জাতীয় নির্বাচন এলে তো কথাই নেই।


ব্যানার, ফেস্টুন, মিছিল, মাইকে অমুক মার্কায় ভোট দেওয়ার আহবানসহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের কাছে বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়া ছিল একটি রেওয়াজ আর যা ছিল সব সময় শান্তিপূর্ণ। এই শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ ধীরে ধীরে অশান্ত হওয়া শুরু হলো পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক ঘটনার পরপরই। আর এই কাজটি অত্যন্ত সুচারু আর দক্ষতার সঙ্গে করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর সবচেয়ে বড় বেনিফিশিয়ারি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। বক্তব্যটি কোনো রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য নয়, বরং কিছু ভুলে যাওয়া সত্য তুলে আনার জন্য।


১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর যখন জিয়ার কাছে এই খবর পৌঁছাল যে প্রেসিডেন্টকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি খুব ঠাণ্ডা মাথায় জবাব দিয়েছিলেন, ‘সো হোয়াট প্রেসিডেন্ট ইজ ডেড ভাইস প্রেসিডেন্ট ইজ দেয়ার, প্রেসিডেন্টের মৃত্যু হয়েছে তাতে কী, উপরাষ্ট্রপতি তো আছেন। ’ সাংবিধানিকভাবে এমনটিই হওয়ার কথা ছিল। বাস্তবে কী হলো? ঘাতকদের একজন মেজর শরিফুল হক ডালিম রেডিওতে ঘোষণা করলেন হত্যাকাণ্ডের কথা আর জানিয়ে দিলেন, ঘাতকদের শিরোমণি বঙ্গবন্ধুর একসময়ের রাজনৈতিক সতীর্থ আর তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য খন্দকার মোশতাক নতুন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন এবং দেশে সামরিক আইন ঘোষণা করেছেন। তখনো কিন্তু নির্বাচিত উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম জীবিত এবং দেশের সংবিধানও বহাল আছে। কয়েক দিন পর সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতাকে আটক করে নেওয়া হলো ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে। ৩ নভেম্বর তাঁদের কারা অভ্যন্তরে হত্যা করা হলো। ৮১ দিনের মাথায় জিয়া মোশতাককে উত্খাত করে রাষ্ট্রপতি আর প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি এ এস এম সায়েমকে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা, মোশতাকের ক্ষমতা গ্রহণসহ পঁচাত্তর-পরবর্তীকালে যত সংবিধানবিরোধী অপকর্ম হয়েছে, সব কিছুই জিয়ার গোচরে আর অনুমোদনে হয়েছে। কারণ এ সময় দেশে তাঁর চেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি কেউ ছিলেন না। ২৫ আগস্ট সেনাপ্রধান জেনারেল সফিউল্লাহকে তাঁর দায়িত্ব থেকে অপসারণ করে সেখানে জিয়া নিজেকে স্থলাভিষিক্ত করেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us