হাঁটুভাঙা ও কোমরভাঙা নিয়ে দুই নেতার বাহাস

আজকের পত্রিকা বিভুরঞ্জন সরকার প্রকাশিত: ০২ অক্টোবর ২০২২, ১৩:৩১

দিন যত যাচ্ছে, রাজনীতির মাঠ যেন তত গরম হয়ে উঠছে। সাধারণ মানুষের মনোযোগ এখন সেভাবে রাজনীতির দিকে নেই। কারণ, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় মানুষ হিমশিম খাচ্ছে হিসাব মেলাতে। আয় বাড়ার কোনো লক্ষণ নেই, কিন্তু প্রতিদিনই ব্যয় বাড়ছে। শুধু চাল, ডাল, তেল নয়, যা কিনতে যাওয়া যায় সব জিনিসেরই দাম বেশি।


সাবান থেকে শুরু করে কাগজ-কলম—কিছুই মূল্যবৃদ্ধির বাইরে নেই। যাঁদের আয়-রোজগার অঢেল, যাঁরা বেতনের থেকেও উপরি আয় করেন অধিক, তাঁদের কোনো সমস্যা নেই। তাঁদের দেশের নামডাকওয়ালা শপিং মল কেন, কেনাকাটা করতে বিদেশে যেতেও দুবার ভাবতে হয় না। কিন্তু এমন মানুষের চেয়ে দেশে তো সেই সব মানুষের সংখ্যা বেশি, যাঁদের আয় সীমিত এবং খুবই কম। এমনকি কুড়ি হাজার টাকা মাইনে যাঁর, তাঁর পক্ষেও কি চারজনের পরিবার নিয়ে আরাম করে দিন যাপন সম্ভব হচ্ছে?


এমন অসংখ্য মানুষ আছেন যাঁরা বুঝতে পারছেন না, কোন খরচটা কমিয়ে সংসারের বেহাল অবস্থা সামাল দেবেন। একেবারে মোটা চালেরও যে দাম তাতে অনেক পরিবারই পেটপুরে ভাত কত দিন খেতে পারবেন, তা ভাবতে শুরু করেছে। শুধু ভাত তো আর খাওয়া যায় না। আগে যাঁদের প্রতি বেলায় ভাতের সঙ্গে ডাল, ভাজি ও একটি তরকারির পদ থাকত, তাঁরা এখন তরকারির পদ কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। ডিমের দাম বেড়ে আবার কমতে শুরু করেছিল। এখন আবার বেড়েছে। সকালে নাশতার সঙ্গে ডিম খাওয়ার অভ্যাস যাঁদের ছিল, তাঁরা এটা আর বজায় রাখতে পারছেন না। মাছ-মাংস খাওয়া ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। শিক্ষার উপকরণ, যাতায়াত খরচসহ নানামুখী ব্যয় বাড়ার চাপে সন্তানদের লেখাপড়া বন্ধ করে দিয়েছে কত পরিবার, সে খবর কি কোনো রাজনৈতিক দল বা নেতাদের কাছে আছে?


সীমিত আয়ের মানুষ ও চাকরিজীবীরা বাজারের অস্থিরতায় এতটাই অসহায় অবস্থায় পড়েছেন যে চিকিৎসা কিংবা অন্য কোনো বিপদে পড়লে তাঁরা খরচ করতে পারছেন না। এমনকি বিয়েশাদির দাওয়াত পেলেও কেউ কেউ আতঙ্ক বোধ করেন। মূল্যবৃদ্ধির এই পরিস্থিতি কত দিন চলবে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে দীর্ঘদিন এমনটা চলতে থাকলে গণ-অসন্তোষ দেখা দেওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এসব বিষয় আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর বিবেচনায় আছে কি?


দেশে রাজনৈতিক দলের সংখ্যা অনেক, তবে প্রধান দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। আওয়ামী লীগ টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায়। দলটি মনে করে, তারা ক্ষমতায় থাকায় দেশের বিরাট উন্নতি হয়েছে। অনেক উন্নতি দৃশ্যমানও। মানুষের মাথাপিছু গড় আয় বেড়েছে। এসব যেমন অস্বীকার করা যাবে না, তেমনি এটাও ঠিক যে দেশে এই সময়কালে ধনী-গরিবের বৈষম্যও অনেক বেড়েছে। দেশে ‘মোটা আলী’ ও ‘চিকন আলী’দের পাশাপাশি অবস্থান বেমানান হলেও তা এড়ানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us