প্রায় সপ্তাহখানেক আগে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের বাংলাদেশের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় মিয়ানমারের গোলাগুলি হয়েছে। এরই মধ্যে ওই সীমান্ত এলাকায় ক্যাম্পে স্থিত রোহিঙ্গাদের মধ্যে হতাহত এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে। অনুরূপভাবে সীমান্তসংলগ্ন বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে আহত হওয়ার ঘটনা যেমন ঘটেছে, তেমনি অকস্মাৎ এমন পরিস্থিতির কারণে ওই সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত পাহাড়ি এবং বাঙালি বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এক কথায় আতঙ্ক বিরাজ করছে বাংলাদেশের তমব্রু, গুন্ধুম ও উত্তরের সীমান্ত এলাকায়।
এরই মধ্যে সেপ্টেম্বরের ৪ তারিখে মিয়ানমারের জঙ্গিবিমান বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে পড়েছিল যা আন্তর্জাতিক রীতিনীতির বাইরে। মিয়ানমারের এমন আচরণের যৌক্তিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চারবার মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানালেও মিয়ানমার খুব একটা ধর্তব্যের মধ্যে নিয়েছে বলে মনে হয় না। বরং প্রত্যুত্তরে যে ব্যাখ্যা দিয়েছে তা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। মিয়ানমার উল্টো বাংলাদেশের ওপর দোষারোপের বক্তব্য দিয়েছে যা মোটেও যৌক্তিক নয়। এর মধ্যেই জাতিসংঘের ৭৭তম সাধারণ পরিষদের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে পুনরায় জোরালোভাবে বিশ^দরবারে তুলে ধরেছেন। তিনি বাংলাদেশ সরকার গৃহীত এ পর্যন্ত সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান এবং ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন যে, এ পর্যন্ত বাংলাদেশ বিশ^বাসীর অনেক সহযোগিতা পেলেও সে সহযোগিতা প্রায় কমে আসছে।