পুলিশি গল্পের ‘ঢাকা অ্যাটাক’র পর দীপংকর দীপনের র্যাবময় সিনেমা ‘অপারেশন সুন্দরবন’। ‘অতীত’ হয়ে যাওয়া সুন্দরবনের ভয়ঙ্কর ডাকাতদের নতুন করে চেনার গল্প অপারেশন সুন্দরবন। র্যাবের আত্মপ্রচার, বিজ্ঞাপন কিংবা র্যাবকে ‘গ্লামারাইজ’ করার সিনেমাও অপারেশন সুন্দরবন। বার বার গল্পের বাঁকবদলের সিনেমাও অপারেশন সুন্দরবন। সুন্দরবনে শুটিং হওয়া বাঘ, হরিণ, পাখি, মানুষ নিয়ে প্রথম সিনেমা অপারেশন সুন্দরবন।
সিনেমার গল্প মুঘলদের বশ্যতা স্বীকার না করা বার ভূঁইয়াদের একজন রাজা প্রতাপাদিত্যের (১৫৬১-১৬১১) সময়কার সুন্দরবন থেকে মগ, হার্মাদ ও ফিরিঙ্গীদের হাতে মাছ ও লবণ ব্যবসায়ীদের সর্বস্বান্ত হওয়া থেকে এই শতাব্দীর সুন্দরবনের উপর ধারাবাহিক নজরদারি নিয়ে। নজরদারি এই অর্থে যে, বাঘের ভয়ে সাধারণ মানুষের যাতায়াতহীন সুন্দরবনে যারা যেত, তাদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, জেলে কিংবা অন্যান্য পেশাজীবীদের সামান্য সম্পদ কেড়ে নেওয়াই ছিল ডাকাতদের ধর্ম। এই ডাকাতরা এত নির্মম যে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে, মুক্তিপণ আদায় না হওয়া পর্যন্ত খেতে দেয় না। না খাইয়ে কিংবা গুলি করে এরা মানুষ মারে, বনে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় এরা আস্তানা বদলায়।
সিনেমার শুরুতে এমন এক ‘গজাল ডাকাত’ মারা যায় র্যাবের হাতে। ছবির গল্পের সেটা প্রথম বাঁক। গজালের হাতে আটকা পড়া মাছ ধরতে আসা সাজু, যার বাবা আক্কাসকে খুন করে গজাল নিজেই, সেই সাজু নাম লেখায় ডাকাত দলে। সে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য নাকি ডাকাত হয়েছে।
এরপর কয়েকবার বাঁকবদল হয় গল্পের। জানা যায়, গজালের চেয়ে অনেক প্রভাবশালী ডাকাত মনা। গজালের মতো মনাকেও ধরার কাজে র্যাবের কাছ থেকে দায়িত্ব পায় মেজর সায়েম।