ইউটিউবে মাছ ধরার ভিডিও থেকে মিজানুরের আয় মাসে সাড়ে তিন লাখ টাকা

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:১৪

রাজধানীর তিতুমীর কলেজ থেকে ২০১৬ সালে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে চাকরিই খুঁজছিলেন মিজানুর রহমান। কিন্তু চাকরি পাচ্ছিলেন না তিনি। কিন্তু মিজানুর হাল ছাড়েন না, চাকরির পেছনেই লেগে থাকেন। চাকরিও পেয়ে যান একসময়। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে তাঁর কাজ ছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্যের উত্তর দেওয়া। প্রতিষ্ঠানের সেবা সম্পর্কে বা কোনো তথ্য কেউ জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের পক্ষে উত্তর দেওয়া। তা ছাড়া মিজান ভিডিও সম্পাদনার কাজও করে দিতেন। বেতন খুব বেশি ছিল না। তবে মিজানুরের চলে যাচ্ছিল। কিন্তু করোনাকালে ঢাকায় আর থাকতে পারলেন না। চলে যেতে হলো পাবনার চাটমোহর উপজেলায় নিজের গ্রাম উথুলীতে। দুই ভাই-বোনের মধ্যে ছোট মিজানুর। তাঁর বাবা পলান প্রামাণিক একটা স্টেশনারি দোকান চালান।


আজ সোমবার মুঠোফোনে কথা হয় মিজানুর রহমানের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘করোনা মহামারির লকডাউনের সময় কেউ বাইরে বের হতে পারছিল না। একদিন দেখলাম, এলাকার বাবু ভাই মাছ ধরতে যাচ্ছেন চলনবিলে। আমাকে বললেন, “বসে থেকে কী করবি, চল মাছ ধরতে যাই।” আমি দেখতাম, ছিপ–বড়শি দিয়ে টোপে টোপে মাছ ধরছেন তিনি। প্রতিটি টোপেই মাছ উঠছে। এমনকি তিনি বলে বলে ফোন ধরছেন। একবার ট্যাংরা তো একবার শিং। বিষয়টি আমার বেশ ভালো লাগল। সঙ্গে সঙ্গে আমার ফোন বের করে ভিডিও করা শুরু করলাম। তারপর আমার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিওটি ছেড়ে দিলাম। ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। প্রথম দিনেই দেড় লাখবার দেখা হয় সেটি।’


এরপর মিজানুর ভাবলেন, গ্রামে মাছ ধরার এই বিষয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ আছে। এই দৃশ্য দেখে দর্শকেরা মজা পান, আবার গ্রামীণ ঐতিহ্যকেও তুলে ধরা যায়। ইউটিউবে মিজানুর নিজের ব্যক্তিগত চ্যানেলের নাম বদলে রাখলেন ন্যাচারাল ফিশিং বিডি। ছিপ বড়শি, পলো, জাল—নানা পদ্ধতির মাছ শিকারের ভিডিও বানিয়ে, সম্পাদনা করে সেগুলো ইউটিউবে প্রকাশ করা শুরু করেন মিজানুর। ধীরে ধীরে এই চ্যানেল থেকে আয় হতে থাকে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us