সালাউদ্দিন, মরিয়ম এবং ফেসবুকে অস্থিরতা

আজকের পত্রিকা জাহীদ রেজা নূর প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:৪৬

সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে অবিশ্বাস্য আনন্দের জন্ম দিয়ে আমাদের মেয়েরা যেদিন ঢাকায় ফিরে এলেন, সেদিন বাফুফের প্রধান কাজী সালাউদ্দিনের একটা কথা ভেসে বেড়াতে লাগল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সংবাদ সম্মেলনে হাস্যকর কিছু কথা বলেছিলেন কাজী সালাউদ্দিন। তিনি নাকি তিনবার নেপালে যাওয়ার জন্য টিকিট করেছেন, কিন্তু তিনি নেপালে তাঁর উপস্থিতিতে মেয়েরা নাকি বাড়তি চাপ অনুভব করতেন। আর এই চাপ মেয়েদের খেলাকে ব্যাহত করত। এ কারণেই নাকি তিনি নেপালে যাননি।


বাফুফে সভাপতি আবার সাফেরও সভাপতি। ফলে ট্রফি তো তাঁর হাত থেকেই মেয়েরা নেবেন। কিন্তু মেয়েদের বাড়তি চাপ না দেওয়ার জন্য তিনি যাননি নেপালে। 


স্বভাবতই বাফুফে প্রধানের এ কথা নিয়ে তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। কে কার আগে নিজের অনুভূতি জানাতে পারে, তার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছিল। যাঁরা প্রতিক্রিয়া দেননি, তাঁদের সিংহভাগও বাফুফে সভাপতির বক্তব্যে কষ্ট পেয়েছেন। আসলে আমাদের নারীরা উল্লেখযোগ্য পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই শত প্রতিকূলতা ঠেলে যেভাবে নিজেদের প্রমাণ করছেন বারবার, তাতে আমাদের বাফুফে সভাপতির কোনো অবদান আছে কি না, তা আমাদের জানা নেই। তবে ফুটবল খেলে নারী ও পুরুষ যে আয় করেন, সেই আয়ের বৈষম্যই তো বলে দেয়, আসলে আমাদের মেয়েদের সাফল্যের পেছনে সেই মেয়েদেরই মেধা, পরিশ্রম এবং প্রতিকূলতা কাটিয়ে ওঠার জেদটা কাজ করেছে বেশি, তুলনায় পৃষ্ঠপোষকতা ছিল তুচ্ছ।


মেয়েরা নেপাল থেকে দেশে ফিরে আসার পর ‘ক্রেডিট’ নেওয়ার জন্য ভরে গেল বিমানবন্দর, ভরে গেল বাফুফের সংবাদ সম্মেলন। বিমানবন্দরে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের পদচারণে ঢাকা পড়ে গেলেন মেয়েরা, মালা পরে ঘুরে বেড়াতে লাগলেন সংগঠকের দল, বাফুফের সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারগুলো দখল করে নিলেন পৃষ্ঠপোষকেরাই। চেয়ার থেকে উঠিয়ে দেওয়া হলো নারী ফুটবল দলের কোচ ও অধিনায়ককে। এই রুচিহীনতাই প্রমাণ করে, কেন আসলে আমাদের খেলাধুলা এ রকম কাদার মধ্যে পড়েছে। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us