গত ২ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভ্লাদিমির পুতিনের ভাষণ শুনলে যে কেউই মর্মাহত হবেন। কেননা, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের ভাষণ ছিল অসংগতি ও হুমকিতে ভরা। অন্যদিকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা বিদ্যমান পরিস্থিতিকে আরও শোচনীয় করবে। তিনি তাঁর বক্তব্যে সব দায় পুতিনের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছেন। পুতিন ও বাইডেনের বক্তব্যে নানামুখী প্রভাব পড়বে। আরও বড় পরিসরে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বাইডেন ও পুতিন দুজনই ভাবতে পারেন, তাঁরা এ ধরনের আগুন উসকানোর খেলা খেলে যাবেন। কিন্তু এতে তাঁরা দুজনই শুধু হারবেন না, সারা বিশ্বকে মারাত্মক বিপদের মধ্যে ফেলে দেবেন।
বাইডেন ও পুতিনের যে দৃষ্টিভঙ্গি, তা দেখে মনে হচ্ছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জয় কিংবা পরাজয় ছাড়া অন্য কোনো ফলাফল তাঁরা মেনে নেবেন না। রাশিয়া যদি হেরে যায়, তাহলে মস্কো গণবিধ্বংসী অস্ত্রের ব্যবহার করতে পারে। কিংবা চরম নৈরাজ্যকর একটা অবস্থার মধ্য দিয়ে রাশিয়ার বর্তমান শাসকদের পতন হতে পারে। এ দুটির একটাও আমাদের স্বার্থ হতে পারে না।