বিরোধীদের নবান্ন অভিযানে পুলিশ চাইলেই গুলি চালাতে পারতো বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। কিন্তু তিনি নিজে তা চাননি। কারণ তার সরকার কোনো আন্দোলনে বাধা দেওয়ার পক্ষপাতী নয়। তবে একই সঙ্গে মমতা জানিয়েছেন, বিজেপি আন্দোলনের নামে যেভাবে পথে নেমে ‘গুন্ডামি’ করেছে, তাও কাম্য নয়। পুলিশ যথেষ্ট ‘সংযত’ ছিল বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে প্রশাসনিক বৈঠক ছিল মমতার।
ঘটনাচক্রে এই পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতেই বাড়ি শুভেন্দু অধিকারীর। যিনি রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ও ২৪ ঘণ্টা আগে নবান্ন অভিযানে যোগ দিতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন। বিজেপির মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযান প্রসঙ্গে মমতা বলেন, আমি আন্দোলনে বাধা দেওয়ার পক্ষে নই। কিন্তু আন্দোলনের নামে ব্যাগে করে বোমা আনা হয়েছে, বন্দুক আনা হয়েছে। অন্য রাজ্য থেকে লোক এনে হাওড়া স্টেশনে রেলের নিরাপদ আশ্রয়ে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। বিজেপি গুন্ডামি করার জন্য নবান্ন অভিযান করেছে। মঙ্গলবার বিজেপির অভিযান মাঝপথেই রুখে দিয়েছিল পুলিশ।
হাওড়া, সাঁতরাগাছি ও কলেজ স্ট্রিটে বিজেপির তিনটি মিছিল ও পরে লালবাজারে চতুর্থ মিছিলও থামিয়ে দেওয়া হয়। নবান্নের ধারেকাছেই পৌঁছতে পারেনি বিজেপির কোনো মিছিল। বিজেপি নেতৃত্ব এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে অনাবশ্যক দমননীতি নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। এমনকি, তারা এমনো অভিযোগ করেছিলেন যে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতার নির্দেশেই পুলিশ অকারণে বিজেপি নেতাদের গ্রেফতার করেছে। বুধবার সেই অভিযোগেরই জবাব দিয়েছেন মমতা। বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামে ‘বিশৃঙ্খলা’ তৈরি করার অভিযোগ করে মমতা বলেন, চাইলেই পুলিশ গুলি চালাতে পারতো।