ডেঙ্গু হলেই যে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে, তা কিন্তু নয়। বাড়িতেই অনেকে সুস্থ হয়ে যান। তবে বাড়িতে তাঁর যত্ন নিতে হবে ঠিকঠাক। বিপদচিহ্ন দেখা দিলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতিও রাখতে হবে। আর বাড়ি থেকে চিকিৎসা নিলেও একজন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকা আবশ্যক, নিয়মিত কিছু রক্ত পরীক্ষারও প্রয়োজন। আবার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়িতে এলেও কিছুদিন রোগীকে একটু সাবধানে রাখতে হবে।
ডেঙ্গু রোগীর প্রতিটি দিনই গুরুত্বপূর্ণ। ২-৫ দিনে সাধারণত জ্বর ছেড়ে যায়, আর জ্বর ছেড়ে গেলেই শুরু হয় বিপজ্জনক ধাপ। আগে কখনো ডেঙ্গু হয়ে থাকলে পরে আবার ডেঙ্গু হলে জটিলতার ঝুঁকি বেশি। শিশু ও বয়স্কদের প্রতি সব সময়ই বাড়তি খেয়াল রাখা প্রয়োজন। পানিশূন্যতার কারণে তাদের জটিলতা তৈরি হয় দ্রুত। হৃদ্রোগী, কিডনি বা লিভার রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং গর্ভবতী নারীদের ঝুঁকিও বেশি। কোনো জটিলতা না হলেও ডেঙ্গু রোগীর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে অন্তত দুই সপ্তাহ সময় প্রয়োজন। আর জটিলতা থাকলে আরও বেশি। সেই সময়টাতে বাড়িতে ডেঙ্গু রোগীর যত্নআত্তি প্রসঙ্গে জানালেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মতলেবুর রহমান—