বেশি দিচ্ছি, কম পাচ্ছি নয়— ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হোক সুষম

প্রথম আলো কামাল আহমেদ প্রকাশিত: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:৪১

আমাদের বৃহৎ প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এখন স্বাধীনতার পর সবচেয়ে ভালো অবস্থায় আছে বলে উভয় দেশ এবং তার বাইরেও মোটামুটি একটা জোরালো ধারণা চালু আছে। কদিন আগে ঢাকায় জাতীয় সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফর দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে। আজ সোমবার শুরু হতে যাওয়া চার দিনের এ সফর ঘিরে ভারতে সরকারি পর্যায়ে যে উচ্চমাত্রায় আশাবাদ তৈরি হয়েছে, তা এ মন্তব্যে স্পষ্ট।


ভারত ও বাংলাদেশে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার আশাবাদের কথা শুনলে অবশ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০১৮ সালের একটি মন্তব্যই সবচেয়ে বেশি কানে বাজে। তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা ভারতকে যেটা দিয়েছি, তারা তা সারা জীবন মনে রাখবে। প্রতিদিনের বোমাবাজি, গুলি থেকে আমরা তাদের শান্তি ফিরিয়ে দিয়েছি। এটা তাদের মনে রাখতে হবে।’ ওই বছরের ৩০ মে গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা ‘বাংলাদেশ ভারতের কাছে প্রতিদান চায়’ শিরোনামে খবর ছাপানোর পটভূমিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি কোনো প্রতিদান চেয়েছেন কি না এবং চাইলেও কোনো আশ্বাস পেয়েছেন কি না?


আমরা ভারতকে বেশি দিচ্ছি আর পাচ্ছি কম, এমন একটা ধারণা যে বেশ জোরালোভাবে চালু আছে, সে কথারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল সাবেক রাষ্ট্রদূত ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) প্রেসিডেন্ট এম হুমায়ূন কবীরের কথায়। অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব জোরদারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ভারত ‘সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (সেপা)’ সইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সে লক্ষ্যে দুই দেশ চুক্তি শুরুর বিষয়ে আলোচনা করতে চায় বলে যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, সে বিষয়ে প্রথম আলোর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চুক্তিটিতে দুই পক্ষের স্বার্থ সংরক্ষণ করে, যাতে সুষম হয় এবং পরস্পরের জন্য সুফল বয়ে আনে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়া বাঞ্ছনীয়। আমরা ভারতকে বেশি দিচ্ছি আর পাচ্ছি কম, এমন একটা ধারণা প্রচলিত আছে। কাজেই এই চুক্তি যদি একপক্ষীয় হয়, তবে এটি টেকসই হবে না।’


বাংলাদেশ বেশি দিচ্ছে আর পাচ্ছে কম ধারণা তৈরির পেছনে যেসব পরিসংখ্যান রয়েছে, তার একটা ছবি উঠে এসেছে বাণিজ্যবিষয়ক দৈনিক বণিক বার্তায়। ‘বৃহৎ শক্তির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ভারসাম্য জটিল রূপ নিচ্ছে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে এখন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারত—এ তিন দেশেরই সফট পাওয়ারের (বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে প্রভাবিত করার ক্ষমতা) প্রভাব দিন দিন বাড়লেও বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতে বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ওপরেই সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব উদ্ধৃত করে পত্রিকাটি বলছে, দেশে যুক্তরাষ্ট্রের পুঞ্জীভূত এফডিআইয়ের (প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ) পরিমাণ এখন ৪৩৯ কোটি ডলারের বেশি। এদিক থেকে চীনের অবস্থান পঞ্চম এবং তার এফডিআইয়ের পরিমাণ প্রায় ১৪৪ কোটি ডলার। আর ভারতের অবস্থান দশম ও ভারতীয় এফডিআইয়ের পরিমাণ ৭৬ কোটি ডলারের কিছু বেশি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us