কোষ্ঠকাঠিন্যের মূল চিকিৎসা হলো জীবনযাত্রার পরিবর্তন। খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চা—জীবনধারার এসব দিক ঠিকঠাক রাখলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য আপনিই নিরাময় হয়ে যায়। কিছু ক্ষেত্রে ওষুধ খেতে হয়। অল্প কিছু ক্ষেত্রে সাপোজিটরি ব্যবহারের দরকার পড়ে। নিয়মিত সাপোজিটরি ব্যবহার কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ের স্থায়ী কোনো সমাধান নয়।
খাদ্যাভ্যাস
কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে। খেতে হবে প্রচুর শাকসবজি। শাকে প্রচুর আঁশ রয়েছে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য ভীষণ প্রয়োজনীয়। মৌসুমি ফল রাখুন রোজকার খাদ্যতালিকায়।
শরীরচর্চা
অফিস বা ঘরের অনেক কাজ বসে বসেই করে ফেলা হয়। তা ছাড়া আছে ডিজিটাল মাধ্যমে সময় কাটানোর প্রবণতা। ফলে শুয়ে–বসেই কাটে দিন ও রাতের অধিকাংশ সময়। যানজটে বসে থেকে শরীর ক্লান্ত হলেও শরীরচর্চা কিন্তু হয় না। তাই সারা দিনের ‘পরিশ্রম’-এর পরও শরীরচর্চার জন্য আলাদা সময় রাখতে হবে। অন্যান্য সুফল তো পাবেনই, কোষ্ঠকাঠিন্যও এড়ানো যাবে।
ঘরোয়া চিকিৎসা
ইসবগুলের ভুসি পানিতে গুলিয়ে খেতে পারেন রোজ সকালে। তবে খেয়াল রাখবেন, ভুসি যেন পানিতে ভিজিয়ে রেখে দেওয়া না হয়। অর্থাৎ পানিতে ভুসি মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই খেয়ে ফেলতে হবে। ভুসির সঙ্গে চিনি মেশাবেন না।
অন্যান্য চিকিৎসা
জীবনযাত্রার পরিবর্তন ও ঘরোয়া চিকিৎসায় কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় না হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। চিকিৎসক আপনাকে প্রয়োজনে সাপোজিটরি ব্যবহারের পরামর্শ দিতে পারেন। কিন্তু নিয়মিত এটা ব্যবহার করা যাবে না। তেমন প্রয়োজন হলে চিকিৎসককে জানাতে হবে। দীর্ঘ মেয়াদে কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে পরিপাকতন্ত্রের অন্য কোনো রোগ সেটির জন্য দায়ী কি না, পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সেটিও নির্ণয় করা প্রয়োজন। পাইলস ও অন্য কিছু সমস্যায় অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনও হয়ে থাকে।