ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, বৈশ্বিক পণ্যবাজারে মূল্যবৃদ্ধি, বিশেষ করে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্টম্ফীতি বেড়ে যাওয়াতে প্রায় সব দেশেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ বেড়েছে। স্থানীয় মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দাম অনেক বেড়েছে। বাংলাদেশেও ডলারের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় আমদানি ব্যয় বাড়ছে। বাড়তি দামে পণ্য আমদানি করায় বেড়ে যাচ্ছে উৎপাদন খরচ। অনেকটা মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে সম্প্রতি জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির চাপ। এর সামগ্রিক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে জীবনযাত্রায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার বৈদেশিক লেনদেনে ডলারের বিকল্প হিসেবে অন্য মুদ্রা ব্যবহারের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বলে খবর বেরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাপারটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে বলেও আলোচনা রয়েছে।
এরই মধ্যে বিকল্প মুদ্রা হিসেবে ইউরোর ব্যবহার শুরু হয়েছে। সম্ভাব্য তালিকায় আরও রয়েছে ভারতীয় মুদ্রা রুপি, চীনা অফিসিয়াল কারেন্সি 'রেনমিনবি' এবং রাশিয়ান মুদ্রা রুবল। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ রাশিয়া সফরকালেও রুবলে কারেন্সি সোয়াপের বিষয়টি আলোচিত হয়েছিল। ভারতও সম্প্রতি ভারতীয় মুদ্রা রুপিতে বাণিজ্য সম্পাদনের প্রস্তাব রেখেছে। একটি সংবাদমাধ্যম অবশ্য বলেছে, বৈদেশিক লেনদেনে ডলার, ইউরো, রুপি এবং রেনমিনবির ব্যবহার এরই মধ্যে অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। রুবল অনুমোদনের বিষয়টিও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে।