ফিলিস্তিনি শিশুদের প্রাণ কি এতই তুচ্ছ

প্রথম আলো রাফসান গালিব প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট ২০২২, ০৯:৩৭

আজকের দিনটি আগামী দিনের থেকে হয়তো ভালো,


কেবল মৃত্যুগুলোই আজ নতুন


প্রতিদিনই জন্ম নেয় যে নতুন শিশুরা


তারা ঘুমোতে যাওয়ার আগেই ঘুমিয়ে পড়ে, মৃত্যুতে ।


তাদের গণনা করা মূল্যহীন।


—ফিলিস্তিনি জাতিসত্তার কবি মাহমুদ দারবিশ


গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে বিশেষ করে টুইটারে একটি কার্টুন অনেকেরই নজর কেড়েছে। কার্টুনটিতে দেখা যাচ্ছে, একজন ফিলিস্তিনি নারীকে দুইভাবে আঁকা হয়েছে। এক পাশে দেখা যাচ্ছে, তিনি অন্তঃসত্ত্বা। আরেক পাশে সেই মা বহন করছেন শিশুসন্তানের মরদেহ। শিশুটি রক্তাক্ত, তার দেহে জড়ানো ফিলিস্তিনি ঐতিহ্যবাহী রুমাল ও লাল-সবুজ পতাকা। আর মায়ের চোখের জল গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে। আলা আল লাগতা নামে এক কার্টুনিস্ট এ কার্টুনটি এঁকেছেন। তিনি আরবিতে একটি ক্যাপশনও দিয়েছেন। সেটির ইংরেজি করা হয়েছে এভাবে: ইন প্যালেস্টাইন, দ্য মাদার ক্যারিজ হার সন টুয়াইজ! এর মানে দাঁড়ায়, একজন ফিলিস্তিনি মা তার ছেলেকে দুইবার বহন করেন—একবার গর্ভধারণের সময়, আরেকবার মৃত্যুর সময়। কোনো মা-বাবার জন্য সবচেয়ে কঠিন কাজ, সন্তানের মরদেহ বহন করা। আর সেই কঠিন কাজটিই করতে হয় ফিলিস্তিনিদের। কারণ, ইসরায়েলিদের হামলার লক্ষ্যবস্তুই থাকে ফিলিস্তিনি ছেলেশিশু, কিশোর ও তরুণেরা। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলের সর্বশেষ হামলাতেও তেমনটি আমরা দেখি। তাদের ভাষায়, সেটি অভিযান। এর একটি চটকদারি নামও দিয়েছে—‘ট্রুথফুল ডোন’ (সত্য ভোর)।


আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, গত শুক্রবার থেকে গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। অথচ গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে কোনো রকেট ছোড়া হয়নি, অন্যান্য সময় যে যুক্তি দিয়ে হামলা চালানো হয়। গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের হামলার আশঙ্কা থেকে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপর পাল্টা জবাব দেয় ইসলামিক জিহাদ। তিন দিন ধরে পাল্টাপাল্টি হামলার পর মিসরের মধ্যস্থতায় অস্ত্রবিরতিতে যায় দুই পক্ষ। এবারের ঘটনায়ও বরাবরের মতো ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের শিকার হয়েছে ফিলিস্তিনিরাই। ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৪৪ ফিলিস্তিনি, এর মধ্যে শিশু ১৫টি। ফেসবুক ও টুইটারে রক্তাক্ত ফিলিস্তিনি শিশুদের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। যার প্রেক্ষিতেই ফিলিস্তিনি মায়েদের নিয়ে বেদনাদায়ক কার্টুনটি আমরা দেখতে পাই।

অন্যান্যবার হামাস যুক্ত থাকলেও, এবার তাদের দেখা যায়নি। হামাস যুক্ত হলে যুদ্ধপরিস্থিতি আরও দীর্ঘায়িত হতো। ইসরায়েলও সম্ভবত তেমনটি চাইছিল। কিন্তু গাজার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে চাপে আছে হামাস, যেহেতু সেখানকার সরকার তারা। ফলে ইসরায়েলের আশা পূর্ণ হলো না বলা চলে! সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গত বছর রমজানের শেষ দিকে ইসরায়েল সবচেয়ে বড় হামলা চালায় গাজায়। সেবার হামাস, ইসলামিক জিহাদসহ সাধারণ ফিলিস্তিনি সবাই পাল্টা জবাবে জড়িয়ে পড়ে। ইসরায়েলের হামলায় গাজা শহর রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। টানা এগারো দিনের হামলায় আড়াই শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিদের ছোড়া রকেটে ইসরায়েলি মারা যান বারো জন। নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শিশুই ছিল ৬৬টি। ইসরায়েলি হামলায় একসঙ্গে এত ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু স্মরণকালে আর ঘটেনি। বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর দাবি করেছিল, ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করেছে। এর তদন্ত হওয়া উচিত। কিন্তু এ বিশ্বে ইসরায়েলের বিচার কে করবে!

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us