মাননীয় মন্ত্রী, কত ডলার ফিরল দেশে

প্রথম আলো আনিসুল হক প্রকাশিত: ১২ আগস্ট ২০২২, ১১:৩২

‘হে মোর দুর্ভাগা দেশ, যাদের করেছ অপমান,


অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান!


মানুষের অধিকারে


বঞ্চিত করেছ যারে,


সম্মুখে দাঁড়ায়ে রেখে তবু কোলে দাও নাই স্থান,


অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান।’


আমরা গরিবদের ঘৃণা করি। লুঙ্গি পরা লোকদের সিনেমা হলে ঢুকতে দিই না। বিমানবন্দরে আমাদের শ্রমিকেরা একই রঙের টি–শার্ট পরে একজনের গায়ে লেগে আরেকজন যখন চলেন, দল বেঁধে, মনে হয় যেন গড্ডলিকাপ্রবাহ। তাঁরা নিয়মকানুন জানেন না, ইমিগ্রেশনের ফরম পূরণ করতে পারেন না, এর কাছে ছুটে যান, ওর কাছে ধরনা দেন। (সুখবর হলো, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের আর যাওয়ার সময় ফরম পূরণ করতে হয় না।) তাঁরা কমোড ব্যবহার করেননি এর আগে, এয়ারপোর্টের এথিকস জানেন না। তাঁরা সদ্য বিবাহিত বধূ, চোখে ছানিপড়া বাবা, আঁচলে ধোঁয়ার গন্ধ আর মায়াজড়ানো মা, আদরের ভাইবোনদের ছেড়ে অজানার উদ্দেশে বের হন। মরুভূমির দেশে আউটডোরে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেন, কষ্টার্জিত পাওনার কিছু পান, কিছু–বা পান না। তাঁরা জেলে যান, কোটরে বন্দী থাকেন, নির্যাতিত হন।


কিন্তু এই দেশের রেমিট্যান্সের তাঁরাই বীর। দেশটা যে এখনো চলছে, তার কারণ তাঁদের পাঠানো ডলার। করোনার মধ্যে তাঁরা বিপুল ডলার পাঠিয়েছেন। বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় হুন্ডি কমে গিয়েছিল আর প্রবাসেও টাকা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়েছিল। তার চেয়ে বড় কথা, তাঁরা দেশের স্বজনদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়াতে চেয়েছিলেন। করোনার পর সেই ডলার আসার হার গেছে কমে। তার ফলে বাজারে ডলারের সংকট।


তাতে ব্যাংকের চেয়ে বাইরে ডলারের দাম পাওয়া যায় বেশি। ফলে তা আবারও হুন্ডি করে টাকা পাঠানোকে উৎসাহিত করছে। এটা অচ্ছেদ্য চক্র। ব্যাংকের চেয়ে বাইরে দাম বেশি বলে বৈধ চ্যানেলে ডলার আসছে কম। আর বৈধ চ্যানেলে ডলার কম আসছে বলে বাইরে ডলারের দাম বেশি পাওয়া যাচ্ছে। একবার এই চক্র ভেঙে দিতে পারলেই ডলারের বাজার স্থিতিশীল হয়ে যাবে। যদি ব্যাংক আর বাইরের বাজারে ডলারের দামের পার্থক্য কমে আসে, তাহলেই হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us